নয়াদিল্লি, ১৫ মার্চ: দেশের মুসলিম সংগঠনগুলির মধ্যে শীর্ষস্থানীয় জমিয়তে উলেমায়ে হিন্দ মঙ্গলবার কর্ণাটক হাইকোর্টের রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার সিদ্ধান্তে গভীর হতাশা ব্যক্ত করেছে৷ এর আগেই জমিয়ত হাইকোর্টের অন্তর্বর্তী রায়ের বিরোধিতা করেছিল৷ এদিন রায় বেরোনোর পরে জমিয়ত বলেছে যে মুসলিম মেয়েদের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও শিক্ষার উপর এই রায়ের বিরূপ প্রভাব পড়বে। মঙ্গলবার হাইকোর্ট বলেছে যে হিজাব ইসলামি শরীয়তের অপরিহার্য অনুশীলনের অংশ নয়৷ শ্রেণীকক্ষে এটি পরার অনুমোদন চেয়ে মুসলিম মেয়েদের আবেদন খারিজ করে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হেডস্কার্ফের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছে আদালত। এতে বহু মেয়ে পর্দা মেনে পড়াশোনা করতে পারবে না বলে মনে করছে জমিয়ত৷
রায়ের প্রতিক্রিয়ায় জমিয়তের সভাপতি মাওলানা মাহমুদ মাদানি বলেন, এটি গভীর হতাশাজনক রায়৷ এই রায় ধর্মীয় স্বাধীনতার উপর সরাসরি প্রভাব ফেলবে। তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন যে কোনও সমাজ শুধুমাত্র আইনগত বিষয় দিয়ে পরিচালিত হয় না৷ সেখানে ঐতিহ্য এবং সামাজিক মূল্যবোধ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এক বিবৃতিতে জমিয়ত প্রধান আরও বলেন, এই রায়ের অনেক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে, বিশেষ করে মুসলিম ছাত্রীদের শিক্ষার উপর৷ কারণ তারা তাদের পছন্দের অধিকার এবং বর্তমান সাম্প্রদায়িক পরিবেশে তাদের আস্থা হারাবে।ভারতীয় মুসলিম মহিলাদের শালীনতা এবং পর্দার তাদের বিশ্বাসের সঙ্গে গভীর যোগ রয়েছে যা শুধুমাত্র বিচারবিভাগীয় হস্তক্ষেপ করে মুছে ফেলা যাবে না৷ রায় দেওয়ার আগে কোনও মুসলিম স্কলার বা শরীয়াহ বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে কোনও পরামর্শ নেওয়া হয়নি৷ এ নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন মাদানি৷ এ ধরনের পদক্ষেপ মুসলিম সমাজে কোনও প্রগতি নিয়ে আসবে না৷
মাদানি বলেন, আমরা সরকারকে এমন পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি যা বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে কাজে লাগতে পারে।