সামিম আহমেদ– পাথরপ্রতিমা করোনা পরিস্থিতির পর শিশু পড়ুয়াদের নিয়ে পাথরপ্রতিমার কিশোরী নগরে বিবেকান্দ আদর্শ মিলন মন্দিরে শুরু হয়েছে ‘এক কেজি চালের পাঠশালা। গ্রাম্য পরিবেশে ছিটে বেড়া দিয়ে তৈরি খড়ের চালের এই পাঠশালা। রোজ সকালে পাঠশালা বসে। চলে প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত। বর্তমানে পাঠশালায় ৫৫ জন শিশু পড়ুয়া আছে। এই পাঠশালা থেকে তারা চলে যায় যে-যার স্কুলে। এদিকে– সন্ধ্যায় শিশু পড়ুয়ারা ঠিকমতো পড়তে বসেছে কিনা সেদিকেও নজর রাখেন পাঠশালা কর্তৃপক্ষ। পাঠশালা চলাকালীন পড়ুয়াদের টিফিন দেওয়া ছাড়াও প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীকে বই– খাতা– পেন– পেনসিল ও দুর্গাপুজোর সময় দেওয়া হয় নতুন পোশাক।
পাঠশালা কর্তৃপক্ষ মারফত জানা গেছে– প্রতিমাসে প্রতিটি পড়ুয়া ১ কেজি করে চাল নিয়ে আসে বলে এই পাঠশালার নামকরণ হয়— ‘এক কেজি চালের পাঠশালা’। যদিও সংগৃহীত সেই চালের সঙ্গে আরও ৪ কেজি চাল দিয়ে প্রতিটি দুঃস্থ পরিবার পিছু ৫ কেজি করে পড়ুয়াদের হাত দিয়ে তাদের ঘরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। জানা যায়–লকডাউনের কারণে স্কুলছুট পড়ুয়াদেরএকত্রিত করে লেখাপড়ার মানোন্নয়নের জন্য আরও একটি উদ্যোগ নিয়েছেন পাঠশালার কর্ণধার পুণ্ডরীকাক্ষ আচার্য। মেইন রোড থেকে স্কুল পর্যন্ত ঢালাই রাস্তার উপরে রং তুলি দিয়ে বড় বড় অক্ষরে লেখা হয়েছে স্বরবর্ণ ব্যঞ্জনবর্ণ ও ইংরেজি অক্ষর। যাতে চলাফেরার মাধ্যমেও একজন শিশু পড়ুয়া খুব সহজেই বর্ণপরিচয় শিখে নিতে পারে।