পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ইউক্রেনের চলমান অভিযানে মস্কো অসামরিক নাগরিকদের ক্ষয়ক্ষতি এড়িয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। এছাড়া, রাজধানী কিয়েভসহ দেশটির বড় শহরগুলোতে অভিযান চালানোরও কোনও পরিকল্পনা রাশিয়ার ছিল না। কিন্তু যুদ্ধ শুরু হওয়ায় ব্যাপক সংখ্যায় অসামরিক নাগরিক মারা পড়ছে যা এড়িয়ে যাওয়ার কোনও সুযোগ নেই। পেসকভ বলেন, রুশ সেনাবাহিনী ইউক্রেনের বড় শহরগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিতে পারো। যেসব এলাকাকে অসামরিক নাগরিকদের বের করে নেওয়ার জন্য নিরাপদ বলে ঘোষণা করা হবে সেসব এলাকায় হামলা করা হবে না। পেসকভের কথায়, ’আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন আমাদের বড় শহরগুলোতে হামলা চালাতে বাধ্য করছে। তারা অসামরিক নাগরিকদের হতাহত হওয়ার দায় রাশিয়ার ওপর চাপাতে চায়।’ বিষয়টিকে তিনি ‘উস্কানিমূলক’ বলে বর্ণনা করেন। দিমিত্রি পেসকভ আরও জানান, তাঁর দেশ চিনের কাছে কোনও সামরিক সহযোগিতা চায়নি বরং এককভাবে ইউক্রেনে বিশেষ অভিযান চালিয়ে যাওয়ার সক্ষমতা রাশিয়ার রয়েছে। রুশ প্রেসিডেন্টের মুখপাত্রের মতে, ইউক্রেন অভিযান পূর্ব নির্ধারিত সময়সূচি ও পরিকল্পনা অনুযায়ী চলবে।
এদিকে, আমেরিকা ও ইইউ কর্মকর্তারা বলছেন, ইউক্রেনে রুশ বাহিনী কাঙ্ক্ষিত সাফল্য না পাওয়ায় প্রেসিডেন্ট পুতিন ‘হতাশায়’ ভুগছেন! তবে এমন বক্তব্যের মধ্য দিয়ে মূলত রাশিয়াকে উসকানি দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র পেসকভ। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই কর্মকর্তাদের কথায় মনে হচ্ছে, তাঁরা চাইছেন রাশিয়া ইউক্রেনের প্রধান শহরগুলো গুঁড়িয়ে দিক, যাতে অসামরিক নাগরিকদের হত্যার দায় আমাদের ওপর দেওয়া যায়। আমরা তাদের এ অবস্থানকে উসকানিমূলক হিসেবে দেখছি।’ উল্লেখ্য, রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধে প্রকৃত হতাহতের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক দফতর গত রবিবার পর্যন্ত রুশ হামলায় ইউক্রেনে ৪৬টি শিশুসহ ৬৩৬ জন অসামরিক নাগরিকের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে। তবে ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ বলছে, এ সংখ্যা কয়েক গুণ বেশি। রুশ হামলায় শতাধিক হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে ইউক্রেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রক দাবি করেছে।