পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়া চিনের কাছে সামরিক ও আর্থিক সহায়তা চেয়েছে বলে জানিয়েছে আমেরিকা। চিনের কাছে সহায়তা চাওয়ার কারণে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে ওয়াশিংটন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন আধিকারিকরা বলছেন, ইউক্রেন আক্রমণ শুরুর পর থেকেই রাশিয়া চিনের কাছে সামরিক সরঞ্জামের অনুরোধ করে আসছে। যদিও বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি এতে। সোমবার মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান রোমে চিনা বিদেশনীতির শীর্ষ কর্মকর্তা ইয়াং জিচির সঙ্গে বৈঠক করবেন। এর আগেই আমেরিকার তরফে সতর্কবার্তা এল।
ইউক্রেন সংকট শুরু হওয়ার পর থেকেই বেজিং দীর্ঘদিনের মিত্র মস্কোর প্রতি জোরালো সমর্থন প্রকাশ করেছে। কিন্তু প্রকাশ্যে কোনও সামরিক বা অর্থনৈতিক সহায়তা দিয়েছে এমন তথ্য জানা যায়নি। রবিবার জ্যাক সুলিভান বলেন, চিন বা অন্য দেশ যাতে রাশিয়াকে তার অর্থনৈতিক ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরণ দিতে না পারে তা নিশ্চিত করবে আমেরিকা। জ্যাক সুলিভান দাবি করেন, চিন আগে থেকেই জানত যে, রাশিয়ার নেতা ইউক্রেন আক্রমণের ‘কিছু পরিকল্পনা’ করেছেন। এখন দেখার বিষয় হল চিন সত্যিই রাশিয়াকে সাহায্য পাঠায় কিনা। ওয়াশিংটনের চিনা দূতাবাস অবশ্য বলছে, রাশিয়ার অনুরোধ সম্পর্কে তারা অবগত নয়। এদিকে আমেরিকাও হুমকি দিয়েছে চিনকে। বলেছে, রাশিয়াকে সহায়তা করলে চরম মূল্য পরিশোধ করতে হবে।
এদিকে, পোল্যান্ড সীমান্তের কাছে ইউক্রেনের একটি সামরিক ঘাঁটিতে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী রাশিয়ার চারটি যুদ্ধবিমান, তিনটি হেলিকপ্টার ও বেশ কয়েকটি মনুষ্যবিহীন আকাশযান ভূপাতিত করার দাবি করেছে। ইউক্রেনের এ দাবি যাচাই করা যায়নি। ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে যুদ্ধের মাঝে, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে ফের শান্তি আলোচনা হয়েছে। ভিডিও কনফারেন্সে ইউক্রেনের প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলেছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ।