পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ করোনা টিকাকরণে আরও একধাপ এগোল ভারত। এবার শুরু হতে চলেছে ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সীদের টিকাকরণ। সোমবার এমনটাই ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে এই টিকাকরণ। এছাড়াও ষাটোর্ধ্বদের প্রিকওশন হিসেবে বুস্টার ডোজ দেওয়ার কাজ শুরু হবে।
১২ থেকে ১৪ বছর বয়সীদের হায়দরাবাদের সংস্থা বায়োলজিক্যাল ইভান্সের তৈরি কর্বেভ্যাক্স টিকা দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, করোনা আবহে ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সীদের টিকাকরণ কবে থেকে শুরু হবে, তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছিল। বিশেষ করে সব চেয়ে বেশি চিন্তায় পড়েছিলেন অভিভাবকরা। কারণ অফ-লাইনে শুরু হয়েছে স্কুল। ফলে ভ্যাকসিন না নেওয়া অবস্থায় স্কুলে পাঠানো কতখানি যুক্তি-যুক্ত তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছিল। এবার অনেকটাই স্বস্তি মিলবে।
গত মাসেই ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (ডিসিজিএ) ১২ থেকে ১৮ বছরের কিশোর-কিশোরীদের জন্য বায়োলজিক্যাল ই লিমিটেডের করোনা টিকা কর্বেভ্যাক্স-এর চূড়ান্ত ছাড়পত্র দেয়।কর্বেভ্যাক্স-এর টিকার নিয়ম অনুযায়ী ২৮ দিনের মধ্যে টিকার দুটি ডোজ নিতে হবে। দুই থেকে আট ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এই টিকার স্টোরেজ যাবে।
ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিনের পরে দেশের তৈরি দ্বিতীয় টিকা কর্বেভ্যাক্স। এই টিকাও বানিয়েছে হায়দরাবাদের এক নামী ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি বায়োলজিক্যাল ইভান্স। দেশে এখনও অবধি দেশি ও বিদেশি মিলিয়ে যে কটি ভ্যাকসিন রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে কম দাম কর্বেভ্যাক্সের।টিকা নিয়ে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক কাটলেও বাচ্চাদের ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে অভিভাবকদের মধ্যে একট ভয়ের বিষয় লক্ষ্য করা গেছে। তবে গবেষকদের দাবি, ভয়ের কিছু নেই। এই টিকা শরীরে ইমিউন সিস্টেমকে সক্রিয় করে তুলবে। কর্বেভ্যাক্স ভ্যাকসিনও তৈরি হয়েছে করোনার স্পাইক দিয়ে। তবে স্পাইক প্রোটিনের কিছু অংশ সরাসরি ব্যবহার করে টিকা বানানো হয়েছে। গবেষকরা বলছেন, ভাইরাল স্পাইক নেওয়া হয়েছে মানে ভয়ের কারণ নেই। মানুষের শরীরে ঢুকে এই প্রোটিন প্রতিলিপি তৈরি করে সংক্রমণ ছড়াবে না।