পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ মদের দোকান লক্ষ্য করে উড়ে আসছে ইট। একের পর এক ইট এসে পড়ছে দোকানের মধ্যে। আর দোকানের মধ্যে ভয়ে তটস্থ হয়ে বসে আছেন কর্মচারীরা। বিজেপি নেত্রী উমা ভারতীর রণচণ্ডী মূর্তি দেখে আশেপাশের মানুষও ভয়ে জড়োসড়ো। এদিকে ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে বিজেপি নেত্রীর ভিডিও। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন ওই বিজেপি নেত্রী। এই সব সমালোচনা গায়ে মাখতে রাজি নন তিনি। বিজেপির বিরুদ্ধেই আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি উমা ভারতীর।
রবিবার মধ্য প্রদেশের ভোপালে একটি মদের দোকানে এইভাবেও চড়াও হন প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিজেপি নেত্রী উমা ভারতী। দোকানে ঢুকেই কোনও কথা না বলে, ঢিল ছুঁড়তে থাকেন তিনি। সাতদিনের মধ্যে ওই দোকান বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন বিজেপি নেত্রী উমা ভারতী। এই ঘটনায় সমালোচনার মুখে পড়লেও ওই মদের দোকানের কারণেই স্থানীয় মহিলারা নানা সমস্যায় পড়ছেন। হাজারবার বলেও হয়নি। তার এইভাবেই মদের দোকানে ভাঙচুর চালানোই ঠিক বলে মনে হয়েছে।
1) बरखेड़ा पठानी आझाद नगर, बीएचईएल भोपाल , यहाँ मज़दूरों की बस्ती में शराब की दुकानों की शृंखला हैं जो की एक बड़े आहाता में लोगों को शराब परोसते हैं । pic.twitter.com/dNAXrh1jRY
— Uma Bharti (@umasribharti) March 13, 2022
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আরও দাবি, এই ভাঙচুর চালিয়েই তিনি স্থানীয় প্রশাসনকে সতর্ক করেছেন। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে যেন যেন বন্ধ করে দেওয়া হয়, তার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উমা ভারতীর আরও হুঁশিয়ারি বিগত ছয় মাস ধরেই তিনি রাজ্যে মদের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করার দাবি জানাচ্ছেন। কিন্তু তার দাবি মানা হয়নি। তবে এবার যদি তার কথা শোনা না হয় তাহলে তিনি শাসকদল বিজেপির বিরুদ্ধেই বিক্ষোভে নামবেন। এই হুঁশিয়ারির এটাই প্রথম ধাপ বলে জানিয়েছেন তিনি।
ভোপালের পুলিশ কমিশনার মকরন্দ দেউস্কর জানান, তাদের কাছে ভোপালে একটি মদের দোকান ভাঙচুরের খবর এলেও, এখনও অবধি উমা ভারতীর বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ দায়ের করেননি। তবে উমা ভারতী নিজেই ট্যুইটারে দোকান ভাঙচুরের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। কি কারণে এই পদক্ষেপ নিয়েছেন তারও ব্যাখ্যা করা হয়েছে। ট্যুইটে তিনি বলেন, ‘ওই মদের দোকানের কারণে বাড়ির মহিলারা অসুবিধার সম্মুক্ষীণ হচ্ছে। মদ্যপ ব্যক্তিরা স্থানীয় মহিলাদের হেনস্থা করছেন। একাধিক মহিলার কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পরই আমি আজ ঘটনাস্থলে যাই। ওই অঞ্চলে বস্তিও রয়েছে। গরিব শ্রমিকেরা নিজেদের উপার্জনের টাকা এই মদের পিছনে উড়িয়ে দিচ্ছে। তাই এবার স্থানীয় প্রশাসনকে আবার সতর্ক করা হল’।