পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ অর্থবর্ষের শুরুতেই ধাক্কা। একধাক্কায় কমল EPF-তে সুদের। কপালে চিন্তার ভাঁজ মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্তদের। সব থেকেই সমস্যায় অবসরপ্রাপ্তরা। সামাজিক নিরাপত্তাও প্রশ্নে মুখে।
একেই করোনাকালে মানুষের বেতন কমেছে। তারপরেই ফের কমল EPF-এর সুদ। শনিবারই এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশনে তরফে জানানো হয়, চলতি অর্থবর্ষ অর্থাৎ ২০২১-২২ অর্থবর্ষে প্রভিডেন্ট ফান্ডের ডিপোজিটের উপর সুদের হার কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই অর্থবর্ষে ৮.৫০ শতাংশের বদলে ৮.১০ শতাংশ হারে সুদ দেওয়া হবে। সামাজিক নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে। গত ৪৪ বছরে এটাই ইপিএফ-এ সর্বনিম্ন সুদের হার এটাই।
শনিবার গুয়াহাটিতে বৈঠকে বসে ইপিএফও-র সেন্ট্রাল বোর্ড অব ট্রাস্ট্রি। বৈঠক চলাকালীনই জানা যায়, কেন্দ্রীয় বোর্ডের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে প্রভিডেন্ট ফান্ডের ডিপোজিটের উপর সুদের হার ৮.১ শতাংশ করে দেওয়া হচ্ছে। ৭৬ হাজার ৭৬৮ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রাকে মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই এই বোর্ডের সুপারিশ অর্থমন্ত্রকে পাঠানো হবে।
উত্তরপ্রদেশ সহ চার রাজ্য জয়যুক্ত হয়েছে বিজেপি। সরকারের গঠনের খুশিতে হোলির আনন্দে মেতেছে মানুষ। কিন্তু তার পরেই হঠাৎ মধ্যবিত্তের জীবনে কোপ কেন?
জয়ের পরেই মোদি ভাষণে বলেন, ‘যুদ্ধের আঁচ দেশের সর্বত্র পড়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়েছে তেলের দাম। কয়লা, অন্যান্য সামগ্রীর দাম বেড়েছে। কিন্তু দেশবাসী দূরদৃষ্টির পরিচয় দিয়েছে।’ রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন মোদি কি দূরদৃষ্টির পরিচয় দিলেন!
এই প্রসঙ্গে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনায় মুখর হয়েছেন রাজনীতিবিদ থেকে অর্থনীতিবিদেরা। অর্থনীতিবিদ অভিরূপ সরকার বলেন, ‘ মারাত্মক পদক্ষেপ। অন্যান্য দেশে সোশ্যাল সিকিউরিটি আছে, কিন্তু আমাদের দেশে নেই।’
অর্থনীতিবিদ শৈবাল কর বলেন, ‘এটা ভোট প্রতিক্রিয়া। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক রেপো রেট না কমানোয় এটা আশঙ্কা করাই হচ্ছিল। ইপিএফও কমানোয় ৫ কোটিরও বেশি মানুষ অসম্ভব অসুবিধায় পড়বেন। সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়বেন অবসর প্রাপ্তরা।’
তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ, ‘এটা চার রাজ্যের ভোটের ফলের উপহার। বিজেপিকে জেতানোর উপহার। সর্বনাশা দৃষ্টিভঙ্গি। সবকিছুর দাম বাড়ছে। কেন্দ্র জনবিরোধী নীতি অব্যাহত রাখছে। যার ফলে দেশের মানুষ চরম সমস্যায় পড়ছেন। সবাই মিলে একজোট না হলে, বিজেপিকে আটকানো সম্ভব নয়।’