পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ হিজাব পরে কলেজে পরীক্ষা দিতে আসায় এবিভিপির কাছে হেনস্থার শিকার হতে হল এক পরীক্ষার্থীকে। ইতিমধ্যেই সেই হেনস্থার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। অভিযোগ এবিভিপির সদস্যরা তাকে ‘দেশবিরোধী’ এবং ‘সন্ত্রাসী’ তকমা দিয়ে তার ধর্ম সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। প্রশ্ন উঠেছে, কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে হিজাব পরে পরীক্ষা দিতে আসার অনুমতি নেওয়ার পরেও কেন তাকে হেনস্থার শিকার হতে হল? এই ঘটনায় ওই ছাত্রী ১৫ জন এবিভিপি’র সদস্যের নামে অভিযোগ দায়ের করেছেন। এমনকী নিগৃহীতা ছাত্রীর বিরুদ্ধেও এফআইআর দায়ের করেন এবিভিপি নেতা কাভানা শেট্টি। তবে ন্যায়বিচারের জন্য তার এই লড়াই জারি থাকবে বলে জানিয়েছেন ওই নিগৃহীতা ছাত্রী হিবা শেখ।
Have been receiving threats on social media and have been framed over fake allegations but I would like to tell them that I’ll never give in. #HijabIsMyPride and I’ll continue to fight till the end. pic.twitter.com/d8SnK3fAZ4
— Hiba Sheik (@sheik_hiba) March 7, 2022
জানা গেছে, হিবা শেখ ম্যাঙ্গালুরুর ডঃ পি দয়ানন্দ পাই-পি সতীশা পাই সরকারি ফার্স্ট-গ্রেড কলেজের ছাত্রী। অভিযোগ, পরীক্ষাকেন্দ্রে ওই ছাত্রীকে হিজাব পরা অবস্থায় দেখে তাকে হেনস্থা করে বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপির সদস্যরা। তার সঙ্গে শামিল হয় আরও কয়েকজন। গত বৃহস্পতিবারের ঘটনা।
ঘটনা প্রসঙ্গে হিবা জানিয়েছেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ তাঁকে গায়ে শাল জড়িয়ে পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি দিয়েছিলেন। তাঁকে শালের মধ্যে পিন আটকাতে বারণ করা হয়েছিল। কলেজ কর্তৃপক্ষ তাঁকে লিখিত অনুমতিও দেন। এদিকে পরীক্ষা দিতে আসতেই একজন এবিভিপি’র সঙ্গে যুক্ত ছাত্র অধ্যক্ষকে বলেন, আমাকে যেন ক্লাসরুম থেকে বের করে দেওয়া হয়। এই বিষয়ে ওই ছাত্র বাকিদের তার সঙ্গে শামিল করেন। এর পর আমাকে আর লিখিত পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয়নি। ঘটনার পরে ক্যাম্পাসে পুলিশ এসে সকলকে সতর্ক করে বলে, এই রকম কিছু না করতে যাতে আমাদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়’।
এই ঘটনার পর হিবা বুন্দের থানায় ১৫ জন এবিভিপি’র সদস্যদের নামে এফআইআর দায়ের করেন। এদিকে এর পরেই শনিবার, এবিভিপি নেতা কাভানা শেট্টির অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ হিবা এবং অন্যদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে।
এফআইআর প্রসঙ্গে হিবার বক্তব্য, আমার সম্পর্কে অনৈতিক অভিযোগ তোলা হয়েছে। হিবা ট্যুইট করে লেখেন, ‘আমাকে ও আমার নির্দোষ বন্ধুদের ফাঁসানো হচ্ছে। একজন মহিলা হওয়ার কারণে আমাকে আমার আওয়াজকে দমানোর চেষ্টা’। ঘটনার দিনের ভিডিওটিতে এবিভিপি নেতা কাভানাকে দেখা যায়নি বলেও জানিয়েছেন হিবা।
হিবার প্রশ্ন সাংবিধানিক অধিকারের দাবি তোলায় তাকে টার্গেট করা হয়েছে। তার প্রশ্ন এই অধিকার চাওয়া কি তার অন্যায়?