বিশেষ প্রতিবেদন: আগামী দিনে পরমাণু যুদ্ধের চেয়েও বেশি মারাত্মক হয়ে উঠতে চলেছে সাইবার যুদ্ধ। আধুনিক বিশ্বে সাইবার যুদ্ধের আশঙ্কা পরমাণু যুদ্ধের চেয়েও বেশি। কারণ পরমাণু যুদ্ধ ঠেকানোর জন্য বিভিন্ন পন্থা রয়েছে, কিন্তু সাইবার যুদ্ধের জন্য তা নেই। মূলত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে সাইবার হামলা ঠেকানো সম্ভব বলে এতদিন মনে করা হলেও তা পুরোপুরি ঠিক নয়। সাইবার যুদ্ধ ঠেকানোর ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বহু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আর এই সীমাবদ্ধতা খুব দ্রুত সমাধান করা যাবে, তা বলা যাচ্ছে না। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এমনই জানিয়েছেন নিউ সাউথ ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা।
তাদের গবেষণাপত্রটি সাইবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত একটি আন্তর্জাতিক অনলাইন সম্মেলনে পেশ করা হয়েছে। গবেষকরা জানিয়েছেন, সেনা, ট্যাঙ্ক, ক্ষেপণাস্ত্র, বিমানবহর ও নৌবহর ব্যবহারের পাশাপাশি এখন শত্রু দেশের সাইবারস্পেসকেও তাদের অন্যতম লক্ষ্যবস্তু করে তুলছে হ্যাকাররা। ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধেও সাইবার হামলা দেখা গিয়েছে। রাশিয়া ও পশ্চিমা বিশ্ব একে অপরের বিরুদ্ধে সাইবার হামলার অভিযোগ তুলছে। গবেষকরা জানিয়েছেন, এখন হ্যাকারদের প্রধান উদ্দেশ্য হল শত্রু দেশে ঢুকে তার যাবতীয় বিদ্যুৎ সংযোগ, অনলাইন ব্যাঙ্কিং ও ইন্টারনেটকে পঙ্গু করে দেওয়া। গোপন রাষ্ট্রীয় নথি হাতিয়ে নিতে সরকারি সার্ভারেও হামলা চালানো হয়। নিউ সাউথ ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট ফর সাইবার সিকিউরিটির অধিকর্তা অধ্যাপক বলেন, ডিজিটাল বিশ্বে বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে, কম্পিউটার সার্ভারে হানা দিলে গোটা বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবস্থাকেই পঙ্গু করে দেওয়া যায়। এভাবে কোনও দেশের অর্থনীতিকে প্রায় ধ্বংস করে দেওয়া সম্ভব।