পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযানের পর থেকে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম হু হু করে বাড়ছে। আমেরিকা রাশিয়ার তেল সরবরাহে অবরোধ আরোপের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে, এমন খবর প্রকাশ্যে আসতেই আরও এক ধাপ বেড়েছে তেলের দাম। বিশ্ব বাজারে তেলের বেঞ্চ মার্ক ব্রেন্ট ক্রুডের প্রতি ব্যারেলের দাম ছাড়িয়েছে ১৩৯ ডলার। ২০০৮ সালের পর এটি ছিল সর্বোচ্চ। পরে প্রতি ব্যারেলে তেলের বাড়তি এ দাম গিয়ে স্থির হয়েছে ১৩০ ডলারে। উল্লেখ্য, বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম তেল ও গ্যাস রফতানিকারক দেশ রাশিয়া। ইউক্রেনে রাশিয়ার ঘোষিত ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরুর পর তেল সরবরাহ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। ফলে অস্থির হয়ে পড়েছে তেলের বাজার।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বিশ্ববাজারে তেলের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এরইমধ্যে ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছেছে তেলের দাম। সোমবার বিশ্ববাজারে ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ১৩৯ ডলার ছুঁয়েছে। এর ফলে সোমবার এশিয়ার পুঁজিবাজারে দরপতন হয়েছে। এদিকে রবিবার আমেরিকান অটোমোবাইল অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, গত সপ্তাহজুড়ে পেট্রোলের দাম ১১ শতাংশ বেড়ে ২০০৮ সালের পর সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছেছে।
এছাড়া ব্রিটেনে পেট্রোলের দাম গড়ে প্রতি লিটারে ১ পাউন্ড ৫০ পেনি বেড়েছে বলে জানা গেছে। শুধু তাই নয়, রাশিয়া-ইউক্রেন চলমান যুদ্ধের কারণে গ্যাসের দামও বেড়েছে। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ব্রিটেন ও ইউরোপে গ্যাসের দাম রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছেছে। উল্লেখ্য, সউদি আরবের পর সবচেয়ে বেশি জ্বালানি তেল রফতানি করে রাশিয়া। সেই সঙ্গে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি প্রাকৃতিক গ্যাস রাশিয়াতেই উত্তোলন করা হয়। আর ওই গাসের ওপর ইউরোপ অনেকটা নির্ভরশীল। মূলত ইউক্রেনে হামলার জন্য রাশিয়ার ওপর নানা নিষেধাজ্ঞার কারণে বিশ্ববাজারে তেলের সরবরাহে তীব্র সংকট দেখা দেওয়ায় দাম লাগাতার বাড়ছে।