যুদ্ধের ২ সপ্তাহ হতে চলল। রাজধানী কিয়েভের দিকে রুশ সেনার অগ্রযাত্রা অব্যাহত। ইউক্রেনের একাধিক শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে রুশ সেনা। আবার কিছু শহরে রুশ সেনার সঙ্গে ইউক্রেনের লড়াই চলছে। যুদ্ধের মুখে ইউক্রেন থেকে প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষ পালিয়েছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন স্পষ্ট বলেছেন, ইউক্রেনকে নিরস্ত্র না করা পর্যন্ত যুদ্ধ থামবে না। এদিকে পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে অস্ত্র ও গোলাবারুদ চাইছে ইউক্রেন। সর্বশেষ রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের চার শহরের বাসিন্দাদের নিরাপদে বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে গোলাগুলি বন্ধ রাখার ঘোষণা করেছে রাশিয়া। ৩য় দফায় শান্তি বৈঠকও হয়েছে দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে।
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : ইউক্রেনে যুদ্ধ জারি। দেশটির বেশকয়েকটি অঞ্চল এখন রুশ সেনার দখলে। এবার ইউক্রেনের আরও চার শহর দখলের পথে রয়েছে রাশিয়া। এই চারটি শহর হল, রাজধানী কিয়েভ, খারকিভ, মারিউপোল ও সুমি। পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের আগে এই চার শহরে সাময়িক অস্ত্রবিরতি ঘোষণা করেছে রাশিয়া। সাধারণ নাগরিকদের উদ্ধারকাজ যাতে ব্যাহত না হয় সেজন্য মানবিক করিডোর বা নিরাপদ এলাকা তৈরি করা হয়েছে। এই নিরাপদ এলাকা হয়ে সাধারণ ইউক্রেনীয়দের দ্রুত চলে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে রুশ সেনা। তবে এবারও আগের মতো যুদ্ধবিরতি ভেস্তে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রুশ ও ইউক্রেনীয় সেনা একে অপরের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলে যুদ্ধে জড়াতে পারে। তাই এই বিরতি কতক্ষণ টিকবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
রুশ মিডিয়ায় খবর, রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রকের ঘোষণা মাফিক মস্কোর সময় সোমবার সকাল ১০টা থেকে কার্যকর হয়েছে যুদ্ধবিরতি। আরও জানানো হয়, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর ব্যক্তিগত অনুরোধ এবং চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় মানবিক করিডোর খোলা হচ্ছে চার শহরে। বিশ্লেষকরা বলছেন, যেকোনও যুদ্ধেই মানবিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিরাপদ এলাকা প্রতিষ্ঠা করা হয়ে থাকে। ইউক্রেনেও ঠিক তাই হচ্ছে। কিন্তু এই নিরাপদ এলাকা তৈরির আরও এক কারণ হল, যুদ্ধের আগে অসামরিকদের সময় দেওয়া বা সতর্ক করা। অর্থাৎ পূর্ণ মাত্রায় আক্রমণের আগে সবাইকে চলে যেতে কয়েক ঘণ্টা সময় দেওয়া।
এটা স্পষ্ট যে, মানবিক এলাকা ঘোষিত ওই চার শহর দখলে এবার সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাবে রুশরা। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা সতর্ক করে বলেছেন, রাজধানী কিয়েভে সর্বাত্মক আক্রমণের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে রুশ বাহিনী। চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতির তথ্য নিয়ে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর জেনারেল স্টাফ এমনটাই জানান। জেনারেল স্টাফের বিবৃতিতে বলা হয়, কিয়েভ শহরে হামলার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম জড়ো করতে শুরু করেছে রুশ সেনা। ট্যাঙ্ক ও সাঁজোয়া যান নিয়ে বিভিন্ন পদাতিক সেনাদল কিয়েভের নিকটবর্তী শহর ইরপিনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। সেখান থেকে হামলার ভিত্তি প্রস্তুত করবে তারা। দাবি করা হয়, রুশ বাহিনীকে বেলারুশ থেকে জ্বালানি সরবরাহ করা হচ্ছে। এসব জ্বালানি চেরনোবিল এলাকা দিয়ে আনা হয়েছে।