পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধের সাইরেন বাজার সঙ্গে সঙ্গেই আন্তজার্তিক বাজারের তেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে অশনি সংকেত দিয়েছিল ওয়াকিবহল মহল। এবার সত্যি হলো সেই আশঙ্কা। যুদ্ধের কালো ছায়া নেমে এলো এবার দেশের অর্থনীতিতেও। নজিরবিহীন ভাবে পড়লো ভারতীয় টাকার মূল্য। এখন ১ মার্কিন ডলার ভাঙালে ভারতীয় টাকায় মিলবে ৭৬.৯৬ টাকা। স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে এই প্রথম ডলালরের তুলনায় ভারতীয় টাকার এমন শোচনীয় অবস্থা। গত শুক্রবার ১ ডলারের নিরিখে ভারতীয় টাকার মূল্য ছিল ৭৬.১৬ টাকা। গত দুই দিনে তা লাফিয়ে, লাফিয়ে বেড়েছে।
কি কারণে হটাৎ মুখ থুবড়ে পড়লো টাকার দাম?সোমবারে হটাৎ করে বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায়, বেড়েছে ডলারের দাম। স্বভাবতই কমেছে ভারতীয় টাকার মূল্য। জবাবে এমনটাই জানান প্রবীণ অর্থনীতি বিশেজ্ঞ শ্রীরাম আয়ার। তিনি বর্তমানে রিলিয়ান্স সিকিউরিটিতে গবেষক হিসাবে কর্মরত। এই উদ্বায়ী পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে বিষয়টিকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কাছে উত্থাপন করা হতে পারে বলেও তিনি জানান।
বিশ্বের বিভিন্ন লগ্নিকারী সংস্হা তাদের অর্থকে এখন অপেক্ষাকৃত নিরাপদ ক্ষেত্র গুলিতে বিনিয়োগ করছেন। ফলে সোমবার অবধি ডলার ও ইয়েনের দাম ক্রমশ আরো চড়ছে। অন্যদিকে ভারতীয় রুপির এমন করুন অবস্থা আগে কখনো ঘটেনি।
বিশ্ববাজারে এমন আকাশ ছোঁয়া তেলের দাম ২০০৮ সালের পর এই প্রথম। ভারত বিদেশ থেকে তার প্রয়োজনের দুই- তৃতীয়াংশই বিদেশ থেকে আমদানি করে থাকে। ফলে তেলের দামের এই অপ্রত্যাশিত বৃদ্ধিতে দেশ অর্থনৈতিক মন্দার স্বীকার হতে পারে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। এমনিতেই করোনা অতিমারীর ফলে দেশের অর্থনীতির জীর্ণ দশা, কাজ হারিয়েছে বহু মানুষ। নতুন করে ভারতীয় মুদ্রার দাম পড়ায় দেশকে আবারো দুর্ভোগের মধ্যে ফেলে দিতে পারে। প্রবাসী
ডলারের তুলনায় ভারতীয় মুদ্রার নিম্নগামীতা নিয়ে এদিন মুখ খোলেন রাহুল গান্ধী। সরাসরি আক্রমণ করেন মোদি সরকারের নীতি কে। উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে এদিন টুইটারে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন।তিনি লেখেন, ভারতীয় টাকার মূল্য সর্বনিম্ন,
রেকর্ড বেকারত্ব এবং মুদ্রাস্ফীতি। ভারতীয় পড়ুয়ারা ইউক্রেনে আটকে আছে। এদিকে চায়না ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকার দখল নিচ্ছে।মোদি সরকার মানেই জনসংযোগ।