অর্পিতা লাহিড়ীঃ পায়ে পায়ে সে ছুঁয়ে ফেলল ১০০। কতকিছুই না সে দেখেছে এই ১০০বছরে। সেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেকে আজকের রুশ- ইউক্রেন যুদ্ধ। ট্রাম থেকে টোটো। কত পরিবর্তনেরই না সে সাক্ষী। একসময় এই রুটে বাসভাড়া ছিল ৫ পয়সা, কয়লা দিয়ে চলত বাস। এই রাজ্যের অন্যতম প্রাচীন বাসরুট ৫২ নং রামরাজাতলা-হাওড়া, যা পরে সম্প্রসারিত হয়েছে ধর্মতলা অবধি।
এছাড়া ৫২ এর আরো কিছু রুট ছিল।
52: খটিরবাজার থেকে হাওড়া
52: ইছাপুর থেকে এসপ্ল্যানেড
52A: সুরকিকল থেকে এসপ্ল্যানেড
52A: রামরাজতলা থেকে এসপ্ল্যানেড হয়ে ব্রাবোর্ন রোড
52B: স্ট্র্যান্ড রোড হয়ে রামরাজতলা থেকে এসপ্ল্যানেড
52C: হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড এবং
58: চ্যাটার্জিহাট থেকে এসপ্ল্যানেড।
৫২ নং বাস রুট মালিক, সকল কর্চারীদের উদ্যোগে কলকাতা বাস ও পিডিয়ার উদ্যোগে রবিবার উদযাপন হল শতবর্ষে পদাপর্নের অনুষ্ঠান। রীতিমত কেক কেটে সেলিব্রেশন হল সেঞ্চুরির। ৪০ বছর ধরে এই বাসরুটের সঙ্গে জড়িয়ে আছেন কমল ভট্টাচার্য। একসময় কন্ডাকটরি করতেন । সে সময় বাস ভাড়া ছিল ২০ পয়সা। স্মৃতির অতলে ডুব দেন তিনি।
অন্যদিকে এই রুটের আরও এক কর্মচারী গোপাল অধিকারির কথায় পাঁচ পয়সা থেকে শুরু হয়েছিল এই রুটের বাসভাড়া। ক্রমে তা ২০, ৫০ পয়সা, একটাকা এই ভাবে সমানুপাতিক হারে বাস ভাড়া বাড়তে থাকে। ৫২-৫৮ রুট বাস মালিক সংগঠনের সম্পাদক ভোলানাথ চৌধুরী জানালেন এই রুটকে তাঁরা হেরিটেজ করার দাবি জানাচ্ছেন। এই ১০০ বছরের প্রাচীন রুটের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে ৩০০ বছরের প্রাচীন জনপদ রামারাজাতলার ইতিহাস।
৫২ নং রুট কে হাওড়া শহরের প্রথম এবং এই রাজ্যের অন্যতম প্রাচীন বাস রুট, যেটি শুরু হয়েছিল ১৯২২ সালে। শ্রীরামপুরের ৩ নং রুট কে নিয়ে অনেকেই অনেক কিছু বলে থাকেন, মনে করা হয় এটি পশ্চিমবঙ্গের সর্বপ্রথম বাস রুট। কিন্তু আদতে, ৩ নং রুটের ও ৪ বছর আগে থেকে যাত্রা শুরু করে ৫২।