পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ রাশিয়া- ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে ভারতীয় পড়ুয়াদের দেশে ফেরার আকুল আকুতি প্রত্যক্ষ করছেন সকলেই। কিন্তু তার মাঝেই সামনে আসছে এক বিস্ময়কর তথ্য। প্রতিবছর কমপক্ষে ১১ লাখ শিক্ষার্থী উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশে যান। এর ফলে ভারত হারায় প্রতিবছর কমপক্ষে ৪০ বিলিয়ন ডলার ।বিশেষজ্ঞরা বলছেন কেন এই “ব্রেণড্রেন”? উত্তর খুঁজতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে এই সংখ্যাটি বছরের পর বছর বাড়ছে। এমনকি অনেক শিক্ষার্থী তাদের স্কুলে শিক্ষা শেষ করার পরেও পড়াশোনার জন্য বিদেশে যেতে শুরু করেছে।শিক্ষাবিদরা বলছেন এর পিছনে একটা নয়,একাধিক কারণ রয়েছে। তারমধ্যে অন্যতম দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সেগুলির পঠনপাঠন পদ্ধতির ওপর আস্থা না রাখতে না পারা।
বেসরকারি কলেজে দেশে একজন ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হতে একজন অভিভাবককে প্রায় কোটি টাকার কাছাকাছি খরচ করতে হ্য়।কিন্তু পাশ করে বেরনোর পরেও না মেলে মনোমত বেতন, না মেলে প্লেসমেন্ট। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই গভীর হতাশায় ডুবে যান শিক্ষার্থীরা।
এমনকি রাজনীতিবিদ এবং আমলাদের ছেলেমেয়েদের একটি বড় অংশ ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থার মানকে বিশ্বাস করেন না। পরিসংখ্যান বলছে সমাজের একদম ওপরতলার এই ব্যক্তিদের সন্তানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য পাড়ি দেন। যে সমস্ত পড়ুয়ারা বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য চলে যাচ্ছেন তারা কিন্তু বেশিরভাগই আর দেশে ফিরে আসেনা। ব্রেণড্রেনের এটাও একটা বড় কারণ। ভারতে শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতি, পরিকাঠামোর অভাব, পশ্চিমা দেশগুলির তুলনায় বেতনের স্বল্পতা। এই সকল কারণ শিক্ষার্থীদের দেশে ফিরতে উৎসাহিত করেনা। আইআইএম ব্যাঙ্গালোরের অধ্যাপক আর বৈদ্যনাথন, একটি সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতার কারণে শিক্ষা ব্যবস্থার আক্ষরিক অর্থেই পচন ধরেছে। এই পরিবর্তন কার্যত অসম্ভব বলেই মনে করেন অধ্যাপক বৈদ্যনাথন।