পুবের কলম প্রতিবেদক: যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন। কিয়েভ খারকিভ খোরসান কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। রাশিয়ান আক্রমণে দিশেহারা ইউক্রেন এখনও আত্মসমর্পণ করেনি। স্বাধীনতার যুদ্ধ আখ্যা দিয়ে দেশের ফুটবল তারকারাও নেমে পড়েছেন যুদ্ধক্ষেত্রে।
এমতঅবস্থায় বিশ্বকাপ যোগ্যতা অর্জন পর্বে ২৪ মার্চ স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলার কথা ইউক্রেনের। ম্যাচটি আয়োজিত হওয়ার কথা গ্লাসগোতে। আর সেই ম্যাচে জিততে পারলেই ওয়েলস অথবা অস্ট্রিয়া কোনও একটি দেশের বিরুদ্ধে খেলতে হবে ইউক্রেনকে। জিততে পারলেই চলতি বছরে আয়োজিত হতে চলা ফিফা বিশ্বকাপে নিশ্চিত হতে পারবে ইউক্রেন। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের সব ফুটবলারকে একত্র করাও কঠিন। তার থেকেও বড় কথা ইউক্রেনের জাতীয় দল বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে যে অনুশীলন করবে সেই মাঠ কোথায়?
কারণ রাজধানী শহর কিয়েভ অন্য বড় শহর খারকিভ প্রতিটি জায়গাই যুদ্ধবিধ্বস্ত। মাঠ বলে কোনও কিছু নেই। কাজেই ইউক্রেন ফুটবলাররা বিশ্বকাপ যোগ্যতা অর্জনকারী ম্যাচের আগে প্রস্তুতিই তো নিতে পারছেন না। তাই তাঁরা ফিফার কাছে আবেদন জানিয়েছেন যাতে স্কটল্যান্ড ম্যাচটা পিছিয়ে দেওয়া হয়। কারণও দর্শিয়েছে ইউক্রেনের ফুটবল সংস্থা। তাদের যুক্তি যুদ্ধবিধ্বস্ত অবস্থায় তারা বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে কেমন করে খেলবে? তাছাড়া ইউক্রেনের জাতীয় ফুটবলারদের প্রায় সকলেই আসেন ডায়নামো কিয়েভ ও শাখতার ডনেস্ক ক্লাব থেকে। কিন্তু কিয়েভ বা ডনেস্ক দুটো জায়গাই এখন ভৌতিক শহর হয়ে গিয়েছে। তাই ইউক্রেনের জাতীয় দলের ফুটবলার পাওয়াও যাবে না।
ইউক্রেনের এই যুক্তি উপেক্ষা করতে পারছে না ফিফাও। কারণ ফিফাও ইতিমধ্যেই রাশিয়াকে ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। তাই ইউক্রেনের এমন অবস্থায় তাদের ম্যাচ কোথায় ও কখন দেবে তা এখনও জানাতে পারছে না ফিফাও। পরে তা জানিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে বিশ্ব ফুটবল নিয়ন্তা সংস্থা।