পুবের কলম, ওয়েবডস্কঃ কিয়েভে এখন দিনরাত সাইরেন এবং বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধের যেন কোনও শেষ নেই৷ ইউক্রেনের রাজধানীতে অনেকেই এখনও আশ্রয় খুঁজছেন যেটিকে সবচেয়ে নিরাপদ বলে মনে হচ্ছে সেখানে৷ সেটা হল ভূগর্ভস্থ জায়গা৷ সাবওয়ে স্টেশন, ভূগর্ভস্থ গাড়ি পার্ক এবং বিল্ডিংগুলির বেসমেন্টগুলিতে গত সপ্তাহ থেকে তাদের জীবনকে বোমা এবং ক্ষেপণাস্ত্র থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে। তারা আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে৷ ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষের মতে, ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধ শুরু করার পর থেকে ২ হাজারেরও বেশি বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে। বছর তেইশের আনিয়া একটি মেট্রো স্টেশনে আশ্রয় নিয়েছে৷ সে এখানে একরকম নিরাপদ বোধ করছে কারণ এটি যথেষ্ট গভীরতায় অবস্থিত৷ তার বাড়ি স্টেশন থেকে মাত্র ১০ মিনিটের দূরত্ব৷ এখানে সে ৬ দিন ধরে রয়েছে৷ তার ভাষায়, প্রায় ৮০০ জন লোক স্টেশনটিকে বোমা শেল্টার হিসেবে ব্যবহার করছে৷ আমরা এখান থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাচ্ছি না৷ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কিয়েভ টিভি টাওয়ারে রাশিয়ান হামলার কথা উল্লেখ করে সে জানাচ্ছে, টেলিভিশন টাওয়ারের বিস্ফোরণের শব্দ অবশ্য আমরা শুনতে পেয়েছি৷ গতকাল যারা রাস্তায় ছিল তারা খুব ভয় পেয়েছিল৷ কারণ সেই টেলিভিশন টাওয়ারটি এই জায়গাটির খুব কাছে৷
ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষের মতে, দুইটি রুশ ক্ষেপণাস্ত্র টাওয়ারে আঘাত হানলে অন্তত পাঁচজন নিহত এবং আরও পাঁচজন আহত হয়েছে৷ এর ফলে সংবাদ সম্প্রচার ব্যাহত হয়েছে। আনিয়া এবং আরও অনেকে একটি স্মার্টফোন অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করেন যা যখনই শহরে বিমান হামলার সাইরেন বাজতে থাকে তখন সতর্ক করে দেয়।
সে জানাচ্ছে, আশেপাশে বসবাসকারী লোকেরা সকালে কিছু জামাকাপড় নিতে বা গোসল করার জন্য আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে যাওয়ার চেষ্টা করে৷ আমরা সর্বদা বাইরে যাওয়ার আগে বিজ্ঞপ্তিগুলি পরীক্ষা করি৷
আনিয়ার মতে, তাদের ভূগর্ভস্থ আশ্রয়ে খাবার বা পানির কোনও অভাব নেই।তার কথায়, যুদ্ধের প্রথম কয়েক দিন আমরা বিভ্রান্ত ছিলাম বলে প্রাথমিকভাবে কিছু সমস্যা ছিল৷ কিন্তু স্থানীয় দোকানগুলি তখন থেকে আমাদের খাদ্য এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস দিয়ে সাহায্য করেছে৷ এই সময়ে পরস্পরের উপর বিশ্বাস রাখা এবং আশা না হারানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷