পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ গত বৃহস্পতিবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সামরিক যুদ্ধ ঘোষণার পরেই শুরু হয় যুদ্ধ। সমস্ত শক্তি দিয়ে ইউক্রেনের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে রাশিয়া। সম্প্রতি দুই দেশ বেলারুশে বৈঠকে বসলেও কোন সমাধান সূত্র বের হয়নি। এর পরেও আরও আগ্রাসী দৃষ্টি নিয়ে আক্রমণ শুরু করেছে পুতিন। অহরহ পড়ছে বোমা। গোলা বারুদের গন্ধে চারদিকেই আতঙ্কের বার্তা স্পষ্ট। ইতিমধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পুতিনকে স্বৈরাচারী আখ্যা দিয়েছেন।
এদিকে ইউক্রেনের অবরুদ্ধ দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে আকাশপথে রুশ হামলা শুরু হয়েছে বলে দেশটির সেনাবাহিনী জানিয়েছে। এদিকে খারকিভে অবতরণ করেছে রাশিয়ার প্যারাট্রুপাররা। বুধবার সকালেই প্যারাট্রুপারদের আসার খবর নিশ্চিত করে ইউক্রেন সামরিক বাহিনী।
ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর মতে, খারকিভ এবং আশপাশের অঞ্চলে বিমান হামলার সাইরেন বাজতে শুরু করার পর রুশ বিমান সেনাদের হামলা শুরু হয়।
রাশিয়ার সেনারা একটি আঞ্চলিক সামরিক হাসপাতালে আক্রমণ করে এবং সেখানে লড়াই চলছে। বলা বিধ্বংসী যুদ্ধের সাক্ষী থাকছে খারকিভ। মঙ্গলবার একটি ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনের এই শহরের স্থানীয় সরকার সদর দফতরে আঘাত হানে। এতে অন্তত ১০ জন নিহত হয়। সেদিন কয়েকজন বেসামরিক নাগরিকেরও মৃত্যু হয়। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি খারকিভের বেসামরিক এলাকায় রাশিয়ার হামলা চালানোকে যুদ্ধাপরাধ বলে আখ্যা দিয়েছেন।
ইউক্রেন সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার রাতে খারকিভে লাগাতার এয়ারস্ট্রাইক চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। একটি আবাসনে বোমা আছড়ে পড়ায় কমপক্ষে আটজনের প্রাণহানি হয়েছে। আহত বহু। আকাশ থেকে অবতরণ করেছে প্যারাট্রুপারবাহিনী। কিয়েভের প্রধান টেলিভিশন টাওয়ারেও পরপর দুটি ক্ষেপনাস্ত্র বর্ষণ করেছে রুশ বাহিনী। কমপক্ষে ৫ জনের মৃত্যু ও আরও ৫ জনের আহত হওয়ার খবর মিলেছে। টিভি সেন্টারে বিস্ফোরণে কারণে সম্প্রচার বন্ধ হয়ে গেছে।
কিয়েভকে চারদিক থেকেই ঘিরে ফেলেছে রুশ সেনা। প্রায় ৩০০-রও বেশি ট্যাঙ্কার নিয়ে রাশিয়ান সেনা শহরে ঢোকার চেষ্টা করছে। চলছে লাগাতার গোলাবর্ষণ।