পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : ইউক্রেনে সংঘাতের কারণে জ্বালানি সরবরাহ ব্যাহত হতে পারে এমন উদ্বেগের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের জ্বালানি মন্ত্রীরা সোমবার ব্রাসেলসে একটি জরুরি বৈঠকে বসছেন। ইইউ গ্যাসের ৪০ শতাংশ এবং তেলের এক চতুর্থাংশের জন্য রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল। রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইইউয়ের নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার পর সবাই এখন উদ্বিগ্ন। সবাই ভাবছেন এই বুঝি গ্যাস বন্ধ করে দিলেন পুতিন। এক হিসাব বলছে জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দিলে ৩ মাসের মধ্যেই গোটা ইউরোপের ভাণ্ডার শূন্য হয়ে যাবে। তখন মারাত্মক সংকট দেখা দেবে গোটা মহাদেশে। নোভায়া গেজেটা সংবাদপত্রের প্রধান সম্পাদক নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী দিমিত্রি মুরাটভ বলেছেন, পুতিনের কথাগুলো পারমাণবিক যুদ্ধের হুমকির মতো শোনাচ্ছে। রাশিয়ার বিরুদ্ধাচারণ করলে সবকিছু ধ্বংস করে দেওয়া হবে। এটা স্পষ্ট হুমকি। পুতিন এটা করবেন না, ওটা করবেন না, শেষে দেখা যায় পুতিন সেটাই করছেন। এবার পারমাণবিক বোমার ক্ষেত্রেও সবাই বলছে, পুতিন বোমা চাপবেন না। ভয়টা সেখানেই! মুরাটভ বলছেন, পুতিন যদি পারমাণবিক বিকল্প বেছে নেন, তবে তার ঘনিষ্ঠ কেউ কি তাকে নিরুৎসাহিত করার চেষ্টা করবে? তাকে থামাবে? রাশিয়ার রাজনৈতিক অভিজাতরা কখনই জনগণের সাথে থাকে না। তারা সবসময় শাসকের পক্ষ নেয়। পুতিনের রাশিয়ায় শাসকরাই সর্বশক্তিমান। যা মনে করা হয় পুতিন ঠিক তার উল্টো। বলা হয়েছিল, পুতিন কখনই ক্রিমিয়া দখলে নেবেন না, তিনি তা করেছেন। ভাবা হয়েছিল তিনি ডনবাসে যুদ্ধ করবেন না পুতিন তা করেছেন। বলা হয়েছিল ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রায় আক্রমণ করবেন না। পুতিন তাও করেছেন। পুতিন ন্যাটো নেতাদের আক্রমণাত্মক বিবৃতির প্রেক্ষিতে তার দেশের পারমাণবিক বাহিনীকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। তাই এখন ভয় একটাই পরবর্তী পদক্ষেপ পরমাণু হামলা নয়তো। আর তাই যদি হয় তাহলে ৩য় বিশ্বযুদ্ধ কেউ আটকাতে পারবেনা।