শুভ্রজ্যোতি ঘোষ: ক্রমাগত ইউক্রেনের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ছে রাশিয়া। একের পর এক মিসাইল হানায় ক্ষতবিক্ষত ইউক্রেইন। রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছিলেন কোন অসামরিক অবস্থানে তার দেশের সৈন্য বাহিনী আক্রমণ করবে না। কিন্তু বাস্তব চিত্রটা অন্যরকম। একের পর এক বাড়িতে মিসাইল হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। আর পুতিনের এই আগ্রাসী মনোভাবের কড়া সমালোচনা করলেন তারই দেশের প্রাক্তন দাবাড়ু গ্যারি কাসপারভ। নিজের দেশের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে কার্যত ধুয়ে দিলেন কাসপারভ। তার মতে, ‘রাশিয়া বিশেষ করে পুতিন বিশ্বকে দুটি ভাগে ভাগ করতে চাইছেন। এক ভাগে থাকবে শক্তিধর দেশগুলো। অন্য ভাগে কম শক্তিধর দেশ। পুতিনের লক্ষ্যই হলো শক্তিধর দেশ হিসেবে কমজোরি দেশ গুলির উপর প্রভাব বিস্তার করা।’
শুধু তাই নয় যুদ্ধটা যে অবশ্যম্ভাবী ছিল তা জানিয়ে গ্যারি কাসপারভ বললেন,’ইউক্রেনে একদম সোজা রাস্তা দিয়ে প্রবেশের পরিকল্পনা করেছিলেন পুতিন। শুধু তাই নয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল থেকে কৃষ্ণ সাগর, পুরো জায়গাটাতেই আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে ইউক্রেনে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন পুতিন।’ ৫৮ বছরের গ্যারি কাসপারভ নিজের দেশের সর্ব প্রধানের উপর এতটাই বিরক্ত হয়েছেন যে পুতিনকে তিনি সন্ত্রাসবাদি আখ্যা দিলেও ছাড়লেন না। তিনি বললেন,’পুতিনের নেতৃত্বাধীন রাশিয়া কোনদিনই ইউক্রেনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে মেনে নেয় নি। এই যুদ্ধ তারই প্রমাণ। ‘ সঙ্গে তিনি মারাত্মক অভিযোগ এনে বলেছেন,’পুতিন এক মিথ্যাবাদী চরিত্র । মিথ্যা কথা বলার তার একটা রেকর্ড রয়েছে। তিনি আসলে একজন সন্ত্রাসবাদি। ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার হামলা সেই সন্ত্রাসবাদি কার্যকলাপ এর নমুনা।’
রাশিয়ার এমন আগ্রাসনের পরও ইউরোপের বাকি দেশগুলি সেভাবে প্রতিবাদ জানাতে এগিয়ে আসেনি। এর বিরুদ্ধেও মারাত্মক অভিযোগ এনেছেন রাশিয়ার এক সময়ের বিশ্বসেরা দাবাড়ু গ্যারি কাসপারভ। তিনি বলেছেন,’ইউরোপের বাকি শক্তিধর দেশ গুলি পুতিনকে কিছু বলছে না কারন তাদের সবার সঙ্গে রাশিয়ার ব্যবসা জড়িয়ে রয়েছে ।’ কাসপারভ এও জানালেন, ‘ ২০১৪ সালে প্রিমিয়ার সঙ্গে যা করেছিল রাশিয়া-ইউক্রেন এর সঙ্গে ও সেটাই করতে চলেছে।’ তবে শেষ যে অভিযোগটা গ্যারি কাসপারভ ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে করলেন সেটা আরও মারাত্মক। একসময়ের বিশ্বসেরা এই রাশিয়ান দাবাড়ু তার নিজের দেশের রাষ্ট্রপ্রধান সম্পর্কে জানালেন,’পুতিন যদি ইউক্রেন দখল করে নিতে সমর্থ হয়, তাহলে তার পরবর্তী লক্ষ্য হবে নিশ্চিত ভাবেই তাইওয়ান।