পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ইউক্রেনে হামলার পর রাশিয়ার প্রস্তাবে ভারতের অবস্থানের দিকে নজর ছিল সবার(India’s stand on Ukraine )। চীন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ভারত এর পক্ষে ভোট দেয়নি এবং বিরোধিতাও করেনি।ভারত কেন ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার বিরুদ্ধে প্রস্তাবে ভোট দেয়নি তা ব্যাখ্যা দিয়ে বিবৃতি জারি করেছে নয়া দিল্লি।
বিবৃতিতে নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের প্রতিনিধি টি.এস. তিরুমূর্তি বলেছেন যে ইউক্রেনের সাম্প্রতিক ঘটনাবলিতে ভারত গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।এটা দুঃখজনক যে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের পথ আর খুলে রাখা হয়নি। দ্রুত সহিংসতা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে ভারত ।
ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযান নিয়ে শুক্রবার ভারতীয় সময় গভীর রাতে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে রাশিয়ার হামলার বিরুদ্ধে একটি প্রস্তাব পেশ করা হয়, যাতে ১৫টি সদস্য দেশকে ভোট দিতে হয়।
১১ জন সদস্য প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন। কিন্তু ভারত, চীন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ভোটে অংশ নেয়নি।
ভেটো ক্ষমতা ব্যবহার করে রাশিয়া এই প্রস্তাবে বাধা দেয়। স্থায়ী সদস্য হিসেবে রাশিয়া প্রস্তাবে ভেটো দেয়।
রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেছেন, রাশিয়া ইউক্রেন বা ইউক্রেনের নাগরিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে না, তবে ডনবাসের জনগণকে বাঁচাতে এই পদক্ষেপ নিচ্ছে।নিরাপত্তা পরিষদে যে পাঁচটি দেশের ভেটো ক্ষমতা রয়েছে, রাশিয়া তার একটি রাশিয়া ছাড়াও আমেরিকা, চীন, ফ্রান্স ও ব্রিটেনেরও ভেটো ক্ষমতা রয়েছে।
প্রস্তাবে ভোট না দিয়ে যা বলেছে ভারত
- ইউক্রেনের সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহে ভারত গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
- সহিংসতা এবং শত্রুতা অবিলম্বে বন্ধ করার জন্য সমস্ত প্রচেষ্টা করা উচিত।
- মানুষের জীবনের মূল্য দিয়ে কোন সমাধান পাওয়া যাবে না।
- বিপুল সংখ্যক ভারতীয় ছাত্র সহ ইউক্রেনে ভারতীয় সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিয়েও আমরা উদ্বিগ্ন।
- সমসাময়িক বিশ্ব ব্যবস্থা জাতিসংঘের সনদ, আন্তর্জাতিক আইন এবং স্বতন্ত্র দেশের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি শ্রদ্ধার উপর ভিত্তি করে চলে ।
- গঠনমূলক পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সকল সদস্য রাষ্ট্রকে এই নীতিগুলোকে সম্মান করতে হবে।
- এই পথ যতই কঠিন হোক না কেন মতবিরোধ ও বিরোধ নিষ্পত্তির একমাত্র উপায় আলোচনা।
- পরিতাপের বিষয় কূটনীতির পথ পরিত্যাগ করা হয়েছে। আমাদের এই দিকে ফিরে যেতে হবে।
- এই সমস্ত কারণে, ভারত এই প্রস্তাবে ভোট না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।