পুবের কলম ওয়েবডেস্ক :ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতির জন্যই মুসলিম মহিলাদের সমস্যার কথা ভাবেনি বিরোধীরা।বুধবার উত্তরপ্রদেশে বারবাকি জেলায় একটি নির্বাচনী র্যালিতে অংশ নিয়ে এমনটাই দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
নিজের ভাষণে প্রতিবারের মত এবারেও তিন তালাককে হাতিয়ার করলেন মোদি। তাঁর দাবি বিজেপি ক্ষমতায় আসার পরেই বন্ধ হয়েছে তিন তালাক প্রথা।বুধবার প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সারাংশই ছিল ডাবল ইঞ্জিন সরকার মুসলিম মহিলাদের নিরাপত্তা আরও বেশি করে সুনিশ্চিত করেছে। তাই নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থেই মুসলিম মহিলাদের আরও বেশি করে বিজেপিকে ভোট দেওয়া উচিৎ। উল্লেখ্য আগামী রবিবার বারবাকিতে হবে ভোটগ্রহণ।
এইদিন প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন বিজেপি ক্ষমতায় থাকা কালীন ১.১ লক্ষ থেকে ২.২৫ লক্ষ মহিলা পুলিশ কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। এই পরিসংখ্যান প্রমাণ করে বিজেপি মহিলাদের ক্ষমতায়নের জন্য কি ভাবে কাজ চলেছে। জন ধন যোজনা এবং উজ্জ্বলা রান্নার মতো কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পগুলির কথাও বলেন তিনি । ওয়াকিবহাল মহলের মতে স্বাধীনোত্তর ভারতের রাজনীতি কোনদিনই বিদ্বেষ বা হিংসার কথা বলেনি। কিন্তু ২০১৪র পর থেকেই যেন বিদ্বেষ্বের গৈরিকীকরণ হয়েছে।উত্তরপ্রদেশের মত গোবলয়ের রাজ্যগুলিতে বারংবার দেখা দিয়েছে বিদ্বেষ হয়ে উঠছে রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডার প্রতিরূপ।
নির্বাচনী প্রচারে যে যত হেটস্পীচ ব্যবহার করতে পারবেন তিনি তত বেশি হিন্দুত্ববাদী। কি বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা, তাদের কথায় যিনি নেতা কম কিন্তু অনেকবেশি হিন্দুত্ববাদী হবেন তাদের বাজারদর এখন সবচেয়ে বেশি। বিদ্বেষের ট্র্যাক রেকর্ড না থাকলেই চলে যেতে হবে ব্যাকফুটে।সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে নির্বাচনী জনসভায় গরম বিদ্বেষমূলক ভাষণ দিতে পারবেন। এক কথায় হিন্দুত্বের তাস খেলে বাজার গরম করতে পারবেন।আসলে গোবলয়ের এই নির্বাচনমুখী রাজ্যটিতে “হাতে রইল বিদ্বেষের” মতই অবস্থা।কি দিয়ে ভোট চাইবেন দলীয় প্রার্থীরা? উন্নয়ন কে দূরবীন দিয়ে খুজতে হয় এই রাজ্যে, বরং হাতরস, লখিমপুর থেকে শুরু করে অপরাধের তালিকাটা অনেক বড়।