পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : এত কিছুর পরেও ধর্মঘটীরা অনড়। তাদের সাফ বক্তব্য, যে অন্যায়ভাবে বেসরকারীকরণের পথে হেঁটে তাদের কাজকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ঠেলা হচ্ছে তার প্রতিবাদে ধর্মঘট ছাড়া কোনও পথ নেই। চণ্ডীগড় প্রশসান এখন এই মহাসমস্যা থেকে উদ্ধার পেতে পঞ্জাব, হরিয়ানা থেকে বিদ্যুৎ ধার নিতে উদ্যোগ শুরু করেছে।
বিদ্যুৎ নেই । ভরসা মোমবাতি। সেটা জ্বেলেই দিন কাটছে। বিদ্যুতের অভাবে জ্বলছে না রাস্তার সিগন্যাল। ফলে, যানজট গোটা শহর জুড়ে। বিদ্যুৎ না থাকার কারণে নেই জলও । থমকে গিয়েছে দৈনন্দিন জীবন। বিদ্যুতের অভাবে বন্ধ রয়েছে অনলাইন ক্লাসও। একদিন, দু’দিন নয়। বিদ্যুৎকর্মীদের ধর্মঘটের জেরে এক টানা তিন দিন ধরে কার্যত স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে চণ্ডীগড় শহরের একাংশ। শহর জুড়ে নেমে এসেছে অন্ধকার। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
বিদ্যুৎ সঙ্কটের কারণে একাধিক সরকারি হাসপাতালের অস্ত্রোপচারও পিছিয়ে দেওয়া হয়। চণ্ডীগড়ের স্বাস্থ্য পরিষেবার অধিকর্তা সুমন সিং বলেন, ‘আমাদের কাছে বিকল্প পরিকল্পনা রাখা ছিল, তবে শুধুমাত্র জেনারেটরের উপরই হাসপাতালের বিদ্যুৎ সরবরাহের ১০০ শতাংশ ভার ছেড়ে দেওয়া সম্ভব নয়। সেই কারণেই বেশ কিছু অস্ত্রোপচার, যেগুলি কম গুরুত্বপূর্ণ, তা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে বা আপাতত বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।’ জেনারেটের মাধ্যমে পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার চেষ্টাও সেভাবে কাজে আসছে না এখন। দেশের রাজধানী দিল্লি থেকে মাত্র ঘণ্টা চারেকের দূরত্বে থাকা চণ্ডীগড়ে অনলাইন পড়াশোনাও বন্ধ।