এস জে আব্বাস, শক্তিগড়:পর পর গত কয়েক মরশুমে রাজ্যের ধান চাষীরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছিল। সেসব ক্ষতির বোঝা মাথায় নিয়ে এবছরও জেলার অন্যান্য জায়গার মত বর্ধমান ২ ব্লকেও বোরো ধান চাষ শুরু হয়েছে জোরকদমে।রোয়া প্রায় শেষের দিকে। কোথাও কোথাও চলছে জমি নিরানোর কাজ। এমন সময় জানা যাচ্ছে, বাজারে ইউরিয়া, ডি এ পি র মত সারের অমিলের খবর। তার ফলে এলাকার কৃষকেরা ব্যাপক দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। সারের দোকানগুলিতে তারা বারবার আনাগোনা করেও কোন সুরাহা মিলছে না। কোথাও বা চলছে অপেক্ষাকৃত বেশি দামে কারবার। কোথাও চাষির চাহিদা অনুযায়ী সার মিলছে না। এমনকি,সার বিক্রয়ের পদ্ধতি নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন কৃষকেরা। অনেক ক্ষেত্রে পূর্বে তাদের কাছে সার না কেনায় বর্তমানে সার থাকলেও কৃষককে ফিরিয়ে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ। চাষিদের বক্তব্য, তারা যেখানে সারের দাম কম পাবেন সেখান থেকেই কিনবেন। আগে সার না কিনলে এখন যে তাকে সার বিক্রয় করা যাবেনা, এমন কি কোন নিয়ম থাকতে পারে?
তবে, সমবায় ও দোকান মালিকরা অবশ্য কৃষকদের অভিযোগ অস্বীকার করেন। তাদের মতে, এসময় সারের রেক না আসায় এমন বিপত্তি।
বর্ধমান ২ ব্লকের আটাঘর তাজপুর, ঘাটশিলা, সুহারী, শক্তিগড়, গোবিন্দপুর প্রভৃতি গ্রামের চাষীদের বক্তব্য, এমনিতেই আমাদের ধারদেনা করে চাষে নামতে হয়েছে। সময় মত জমিতে সার দিতে না পারলে ফলন কম হওয়ার সম্ভাবনা। ফলে আবারও ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে আমাদের। আমরা চাই, দ্রুত এ ব্যাপারে প্রশাসন হস্তক্ষেপ করুক। চাষিদের এই অভিযোগের বিষয়ে জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইসমাইলকে জানানো হলে তিনি জানান, রাসায়নিক সার যোগানের ব্যাপারে একটা সমস্যার কথা জানা যাচ্ছে। বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে সমাধানের চেষ্টা করছি। বর্ধমান ২ ব্লকের সহ কৃষি অধিকর্তা সৌমেন ঘোষ জানান, তাঁর এলাকার রাসায়নিক সারের গোডাউন গুলিতে তিনি এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে উচ্চ মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন। খুব শীঘ্রই সমস্যা মিটে যাবে।