পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ বিজেপি, আরএসএস-এর বিরুদ্ধে লড়াইতে নামার জন্যই লালুজিকে এই শাস্তি পেতে হল বলে, সোমবার সোচ্চার লালুপ্রসাদ যাদবের পুত্র তেজস্বী যাদব। এই দিন পশু খাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, আরজেডি প্রধান লালু প্রসাদ যাদবের ৫ বছর জেল হয়েছে। এর পরেই এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হলেন রাষ্ট্রীয় জনতা দলের নেতা তেজস্বী যাদব।
তেজস্বী এদিন বিজেপির বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, ‘লালুজি যদি আজ বিজেপির পাশে দাঁড়িয়ে হাত নাড়তেন তাহলে তাঁকে ‘রাজা হরিশচন্দ্র’ বলে আখ্যা দেওয়া হত। কিন্তু গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শামিল থাকার জন্যই আজ তাঁকে বিজেপি, সংঘ পরিবারের রোষের মুখে পড়তে হল।
তেজস্বী বিজেপির নাম না করে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আমরা ভয় পাই না। আমি আইনি প্রক্রিয়ার ব্যাপারে কিছু বলতে চাই না। তবে এটাই শেষ বিচার নয়। হাই কোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট আছে। আমরা হাইকোর্টে এটিকে চ্যালেঞ্জ করেছি। আমরা আশাবাদী যে হাই কোর্টে নিম্ন আদালতের রায় পরিবর্তন হবে।’
এদিন লালুপুত্র তেজস্বী যাদব ব্যবসায়ী নীরব মোদি, বিজয় মাল্যর নাম তুলে ধরে বলেন, ‘দেশে যে দুর্নীতিগুলি ঘটে চলেছে, এর পিছনে যারা রয়েছে তাদের কেন গ্রেফতার করছে না সিবিআই? পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি ছাড়া দেশে কি আর কোনও কেলেঙ্কারি হয়নি? বিহারে প্রায় ৮০টি কেলেঙ্কারি হয়েছে। কিন্তু সিবিআই, ইডি, এনআইএ হাত গুটিয়ে বসে আছে।
উল্লেখ্য, আজ পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় ফের কারাদণ্ড হল বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবের। পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ রাঁচির বিশেষ সিবিআই আদালত। একই সঙ্গে লালুর বিরুদ্ধে আদালত ৬০ লক্ষ টাকা জরিমানা ধার্য করেছে।
সম্প্রতি ডোরান্ডা ট্রেজারি মামলায় ১৩৯ কোটিরও বেশি টাকা তছরূপের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন আরজেডি প্রধান৷
সেই মামলার রায় বের হল আজ৷ ২০২১-থেকেই এই মামলার শুনানি চলছে। সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে বিচারপতি এস কে শশী লালুপ্রসাদ-সহ ৯৯ জনের বিরুদ্ধে শুনানি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করেছেন৷ এই মামলায় ১৭০ জন অভিযুক্তের মধ্যে ৫৫ জন মারা গিয়েছেন৷ ৭ জন সরকারি পক্ষে সাক্ষী হয়েছেন। ২ জন তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ স্বীকার করেছেন এবং ৬ জন পলাতক। এর আগে অন্য ৪টি পশুখাদ্য মামলায় ১৪ বছরের জেল খেটেছেন লালুপ্রসাদ যাদব।