পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ ট্রাক চালকদের বিক্ষোভকে নিয়ন্ত্রণে আনতে কঠোর পদক্ষেপ করল কানাডা সরকার। দেশে জারি হল জরুরি অবস্থা। করোনা আবহে কানাডায় ভ্যাকসিন বাধ্যতামূলক করে দেশের সরকার। ভ্যাকসিন বাধ্যতামূলক করায় দেশের সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নেমেছে ট্রাকচালকেরা। কার্যত এই নির্দেশ প্রত্যাহার এবং করোনা বিধিনিষেধ শিথিলের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়েছে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে এবার কানাডা সরকার জরুরি অবস্থা জারি করেছে। কানাডার ট্রাকচালকদের করোনা ভাইরাসের টিকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
আর তারই বিরোধিতায় ‘ফ্রিডম কনভয়’ নাম দিয়ে একটি বিক্ষোভ শুরু করেছে ট্রাকচালকেরা। ফলে বিভিন্ন জায়গায় স্বাভাবিক কাজকর্ম স্তব্ধ হয়ে যাচ্ছে।
এই অবস্থায় শুক্রবার সরকারিভাবে জানা গিয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ অফিস-আদালত বন্ধ করে যদি এভাবে বিক্ষোভ দেখানো হয়, তাহলে ট্রাকচালকদের জরিমানা এবং ১ বছরের সাজা ভোগ করতে হতে পারে। আপাতত পরিস্থিতি সামাল দিতে কানাডায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছেন প্রিমিয়ার ডগ ফোর্ড।
এদিকে পরিস্থিতি ক্রমশই জটিল হয়ে যাচ্ছে। বিগত ১৮ দিন ধরে টানা রাস্তায় ট্রাক নামিয়ে কানাডাকে একপ্রকার স্তব্ধ করে দিয়েছে সেদেশের ট্রাক চালকদের একাংশ। এই অবস্থায় বাধ্য হয়েই আগামী ৩০ দিনের জন্য দেশ জুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করলেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।
সাংবাদিকদের ট্রুডো বলেন, ‘আমরা অবৈধ এবং বিপজ্জনক কার্যকলাপকে প্রশ্রয় দিতে পারি না, এবং দেব না।’
উল্লেখ্য, এর আগে কানাডাজুড়ে শেষবার ১৯৮৮ সালে জরুরি অবস্থা জারি হয়েছিল। ৩৪ বছর পর ফের একবার দেশ জুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করলেন প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো। ট্রুডোর কথায়, এই ট্রাক অবরোধের জেরে সারা বিশ্বে কানাডার ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।