পুবের কলম প্রতিবেদক– বাঁকুড়া কয়েকদিনের ব্যবধানে দু’দফায় প্রায় ৫০০ বিঘার পোস্ত গাছ নষ্ট করল বাঁকুড়া জেলা আবগারি দফতর। সূত্রের খবর– বালি এবং কয়লা মাফিয়ারা মাদক কারবারে মোটা মুনাফা লাভের জন্য পোস্ত চাষে মোটা টাকা বিনিয়োগ করেছে।
বাঁকুড়ার মেজিয়া ব্লকের দামোদর তীরবর্তী এলাকার অবৈধ পোস্ত চাষ রমরমিয়ে চলছে গত কয়েক বছর। মেজিয়ার রামচন্দ্রপুর পঞ্চায়েতের তেলেণ্ড-পুরুনিয়া– চরমানা ও বানজোড়া পঞ্চায়েতের সারামা– জপমালি– জংপুর–জালানপুর মৌজার নদীর চরে সরকারি জমিতে বছরের পর বছর ধরে পোস্ত চাষের হদিশ পেয়ে জেলা আবগারি দফতর ড্রোন উড়িয়ে ক্ষেত্রগুলোকে চিহ্নিত করে ট্র্যাক্টর দিয়ে নষ্ট করে দিচ্ছে। কিন্তু বেশ কিছু জায়গা দামোদরের ব-দ্বীপ। ফলে সেখানে জল পেরিয়ে ট্র্যাক্টর নিয়ে যাওয়া যায় না। চলতি বছরে কাশবন কেটে তার মাঝে পোস্ত চাষ হয়েছে। আবার বিভাগীয় দফতরের চোখকে ফাঁকি দিতে মাঝে মাঝে সরষে বুনে দেওয়া হয়েছে। এদিকে সব গাছেই ফুল ও গুটি এসে গেছে। অর্থাৎ আফিম তৈরি করার সন্ধিক্ষণ শুরু হয়ে গেছে। গুটি চিরে আঠা বের করা হয়। এই আঠাই হল আফিম। এবার এই অবৈধ পোস্ত চাষ রুখতে ধারাবাহিক অভিযান চালিয়েছে জেলা আবগারি দফতর।
দফতর সূত্রে জানা গেছে– যে পরিমাণ গাছ নষ্ট করা হয়েছে তা থেকে প্রায় ৭ কোটি টাকা মাদক কারবারীদের লাভ হত। আবগারি দফতরের প্রধান অধিকর্তা তুহিন নাগ ও ডেপুটি এক্সসাইজ কালেক্টর (বাঁকুড়া সদর) বিশ্বজিৎ ভক্ত জানান– ‘আমরা গত বছরও অভিযান চালিয়ে ছিলাম। বিষয়টি উচ্চপর্যায়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’