পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : শেখার বয়স নেই। সে কথা ফের প্রমাণিত হল। জীবনের প্রায় অন্তিম লগ্নে উপনীত হয়ে স্কুলে যাচ্ছেন কেনিয়ার প্রিসিলা সিটিয়েনি। শুক্রবারই ৯৯ বছরে পা দিয়েছেন তিনি। কিন্তু শিক্ষার প্রতি অগাধ আগ্রহ তাকে নিয়ে গেছে স্কুলে। এখন তিনি দেশটির প্রত্যন্ত এক গ্রামে পাথর দিয়ে তৈরি ক্লাসরুমে ছোট ছোট শিশুদের সঙ্গে ক্লাস করেন। তার থেকে ৮০ বছরেরও বেশি ছোট শিশুদের মতো করে স্কুল ড্রেসও পরেন তিনি।
প্রিসিলা বলেন– এই বয়সে স্কুলে ফিরে যাওয়ার মধ্য দিয়ে তিনি তার পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি উদাহরণ রেখে যেতে চান। একইসঙ্গে এর মাধ্যমে একটি নতুন ক্যারিয়ারও বেছে নিচ্ছেন তিনি। পড়াশুনা করে তিনি চিকিৎসক হতে চান বলেও জানান। তার এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন সন্তানরা।
২০০৩ সাল থেকে পূর্ব আফ্রিকার দেশগুলো প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে ভর্তুকি দিতে শুরু করে। এরপরই দেশগুলোর বয়স্ক জনগোষ্ঠী– যারা অর্থের অভাবে পড়াশুনা করতে পারেননি তাদের অনেকেই স্কুলে ফিরতে শুরু করেন। এটি তাদের কাছে স্বপ্নের মতো। প্রিসিলা এরইমধ্যে প্যারিস সফর করেছেন। তাকে নিয়ে সেখানে নির্মিত হয়েছে ‘গোগো’ নামের একটি চলচিত্রও। তার কালেনজিন ভাষায় গোগো শব্দের অর্থ হচ্ছে দাদিমা। নিউ ইয়র্কেও মুক্তি পাচ্ছে এই চলচিত্রটি। সেখানেও যোগ দিতে যাবেন প্রিসিলা। স্কুলে যোগ দিয়ে রীতিমতো সিনেমার তারকা বনে গেছেন তিনি।
বর্তমানে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ছেন প্রিসিলা । তিনি জানান– পড়াশুনার পাশাপাশি স্কুলের অন্যান্য কার্যক্রমও পছন্দ করেন তিনি। শারীরিক শিক্ষার ক্লাসও করেন তিনি। তার ভাষায়– ’এটি আমাকে সুস্থ্য রাখছে। আমি লাফাতে পারি। যদিও আমার সহপাঠীদের মতো পারি না। কিন্তু আমি অন্তত আমার শরীর নড়াতে পাড়ছি। এটাই আনন্দ।’