পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : উত্তরাখণ্ডের বিধানসভা ভোটে বিজেপি জিতলেই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে দাবি করলেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিংহ ধামী। তাঁর ওই মন্তব্যের পরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের দাবি, ভোট পরাজয় নিশ্চিত বুঝেই প্রচারের শেষ প্রহরে বিতর্কিত বিষয় তুলে ধরে মেরুকরণের রাজনীতি করতে চাইছেন ধামী।
ধামী বলেন, ‘‘বিধানসভা ভোটে জিতে বিজেপি ক্ষমতায় ফিরলেই উত্তরাখণ্ডে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকরের আইনি প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি গঠন করবে। সব ধর্মের মানুষের জন্য বিবাহ, বিবাহবিচ্ছেদ, জমি-সম্পত্তি এবং উত্তরাধিকার সংক্রান্ত একই আইনের ব্যবস্থা করা হবে আমাদের রাজ্যে।’’
#WATCH | "Soon after its swearing-in, new BJP govt will form a committee to prepare draft of Uniform Civil Code in state. This UCC will provide for same laws regarding marriages, divorce, land-property & inheritance for all people, irrespective of their faith" says Uttarakhand CM pic.twitter.com/83SYlH2AkE
— ANI UP/Uttarakhand (@ANINewsUP) February 12, 2022
ধামি বলছেন, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর হলে সামাজিক সৌহার্দ্য বজায় থাকবে। লিঙ্গবৈষম্য দূর হবে। মহিলারা শক্তিশালী হবেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, এর ফলে সংবিধানের (Constitution of India) মূল ভাবধারা বজায় থাকবে। ধামির বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্টও বারবার অভিন্ন দেওয়ানি বিধির পক্ষে সওয়াল করেছে। কিন্তু এখনও এ নিয়ে কোনও পদক্ষেপ এখনও করা হয়নি।
‘একটি রাষ্ট্রে দুই প্রধান, দুই নিশান ও দুই বিধান থাকতে পারে না।’ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের এই বাক্যবন্ধ বিজেপির নীতি নির্ধারণে স্পষ্ট। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই এক দেশ, এক আইনের পক্ষে সওয়াল করছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার। তবে বিরোধীদের প্রবল বাধায় তা এখনও কার্যকর হয়ে ওঠেনি। কর্ণাটকে যখন হিজাব (Hijab Row) নিয়ে বিতর্ক চরমে, তখন উত্তরাখণ্ডের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণা ভোটবাক্সে শেষ মুহূর্তে বিজেপিকে ডিভিডেন্ট দিতে পারে।