পুবের কলম প্রতিবেদক কর্ণাটকে স্কুল-কলেজ ছাত্রীদের হিজাব নিষিদ্ধ করা নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক উত্তেজনা চলছে। কলেজ প্রাঙ্গণে গত মঙ্গলবার উগ্রবাদী গেরুয়া বাহিনীর হেনস্থার শিকার হন বোরকা পরিহিতা কলেজ ছাত্রী মুশকান। সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই একাধিক সংগঠন ও ব্যক্তিত্ব তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। শুক্রবার ফুরফুরা দরবার শরীফের তালতলা হাটে এই ঘটনার নিন্দায় প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। মোজাদ্দেদিয়া ইত্তেহাদিয়া ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এই সভায় বহু সংগঠন– আইনজীবী– বুদ্ধিজীবী-সহ অসংখ্য পীর সাহেব উপস্থিত ছিলেন।
‘বোরকা বা পর্দা ইসলামী পোশাকের অবিচ্ছেদ্য অংশ বা অঙ্গ। সেটা ইসলামী শরীয়াহর নির্দেশ এবং সাংবিধানিক অধিকার’– জানিয়েছেন বক্তারা। বক্তব্য রাখেন— পীর আল্লামা ইব্রাহিম সিদ্দিকী– পীরজাদা আবু হোরায়রা সিদ্দিকী– পীরজাদা হোজায়ফা সিদ্দিকী– পীরজাদা তাহবীহ সিদ্দিকী– পীরজাদা সাফেরি সিদ্দিকী। সাম্প্রতিককালে মহিলাদের হিজাবকে কেন্দ্র করে দেশে উগ্রবাদীদের দাপট লক্ষ্য করা যাচ্ছে ও দেশের ধর্মীয় মেরুকরণ শক্তি প্রত্যহ অসাংবিধানিক কাজ করছে। সেই কথা তুলে ধরেন পীরজাদা তামিম সিদ্দিকী– পীরজাদা নুরুল্লাহ সিদ্দিকী– পীরজাদা সফিউল্লাহ সিদ্দিকী– পীরজাদা মুসফেকিন সিদ্দিকী ও পীরজাদা আফফান সিদ্দিকী। রাজ্যে ইসলামী ঐতিহ্য তুলে ধরা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করার আহ্বান জানান পীরজাদা মুনতাকিম সিদ্দিকী– পীরজাদা সৈয়দ নাজিমুদ্দিন– পীরজাদা মোয়াররেখিন সিদ্দিকী– আবু আফজাল জিন্নাহ– নাজিমুল ইসলাম ও রফিক হালদাররা। পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী আব্বাস উদ্দিন– হুগলির আইনজীবী ফিরোজুর রহমান এদিন সভায় উপস্থিত থেকে মূল্যবান মতামত তুলে ধরেন। সংবিধানের ধারায় মানুষের মৌলিক অধিকারের কথা উল্লেখ থাকলেও এই ধারাকে যারা অবজ্ঞা করছেন তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও বলেন বিশিষ্টরা।
অন্যদিকে– বৃহস্পতিবার ভাঙড়ের বাসন্তী হাইওয়েতে হিজাবের পক্ষে শ্লোগান এবং হাতে প্লাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন ভাঙড়ের একদল যুবক। মিছিলে পা মেলান হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের যুবকরা। মিছিল থেকে শ্লোগান ওঠে– ‘হিজাব আমার অহংকার’– হিজাব আমার শক্তি।’ মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়া ভাঙড়ের যুবক ইয়াউর রহমান জানান– ‘হিজাব অবমাননাকারীদের বিরুদ্ধে বাসন্তী হাইওয়ের ঘটকপুকুর থেকে বিডিও অফিস পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ মিছিল করা হয়েছে। মিছিলে ভাঙড়ের কয়েকশো যুবক অংশগ্রহণ করেন। বিশেষ করে হিন্দুধর্মের যুবকরাও অংশগ্রহণ করেন।’