পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ কিছুদিন আগে দল থেকে বাদ পড়েছিলেন। কোচের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে বহু ম্যাচে মাঠে নামার সুযোগ পাননি রোমেলু লুকাকু। যার ফলে একটা সময় কোচের বিরুদ্ধে মুখ খুলতেও দেখা যায় তাকে। পরে অবশ্য ক্ষমা চেয়ে ফের দলে প্রবেশ করেন বেলজিয়াম ফরোয়ার্ড। দলে ফিরে নিজের ফুটবল জাত চিনিয়ে দিলেন লুকাকু। গোলের সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেও সৌভাগ্যসূচক গোল করে দলকে এগিয়ে দিলেন রোমেলু লুকাকু। শুধু এগিয়ে দেওয়া নয়, তার গোল শেষ পর্যন্ত গড়ে দিল ম্যাচের ভাগ্য। তার গোলের ওপর ভর করে আল হিলালকে হারিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠল চেলসি।
বুধবার আবু ধাবির মুহাম্মদ বিন জায়েদ স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন আল হিলালকে ১-০ গোলে হারায় ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন চেলসি।ক্লাব বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম শিরোপা থেকে আর একটি জয় দূরে চেলসি। একই মাঠে ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ গতবারের কোপা লিবের্তাদোরেস চ্যাম্পিয়ন পালমেইরাস। প্রথম সেমি-ফাইনালে মিশরের দল আল আহলিকে ২-০ গোলে হারায় ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটি। যদিও এর আগে একবারই ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলেছিল চেলসি। ২০১২ সালে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব করিন্থিয়ান্সের কাছে হেরে শিরোপা স্বপ্ন ভেঙেছিল চেলসির।যদিও কোভিডে আক্রান্ত কোচ টমাস টুখেলকে এই ম্যাচেও ডাগআউটে পায়নি চেলসি। এ ম্যাচে সেসার আসপিলিকুয়েতার পাসে বক্সের ভেতর থেকে উড়িয়ে মেরে হতাশ করেন হাকিম জিয়াচ। ভাগ্যের ছোঁয়ায় ৩২তম মিনিটে এগিয়ে যায় চেলসি। বাঁ দিক থেকে কাই হার্ভাটজের ক্রস হেডে ক্লিয়ার করতে পারেননি আল হিলালের ডিফেন্ডার ইয়াসির আল শাহরানি। ছয় গজ দূর থেকে শটে বল জালে পাঠান লুকাকু।