পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : কর্ণাটক (Karnataka)হাইকোর্টে চলছে হিজাব হিজাব মামলার শুনানি। কর্ণাটক জুড়ে রয়েছে একটা চাপা উত্তেজনা। ঝামেলা পাকাতে মঙ্গলবার কলেজে এসে “জয় শ্রী রাম” স্লোগান দেয় গেরুয়াধারীরা। এক হিজাবি ছাত্রীকে তারা হেনস্থা করে। এই ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কলেজ ক্যাম্পাসের এই ঘটনার জেরে শিবমোগা জেলা প্রশাসন শহরে ১৪৪ ধারা জারি করেছে।
ভিডিওতে দেখা গিয়েছে পিইএস ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের হিজাবি ছাত্রী(Hijabi student) তার স্কুটার পার্ক করে কলেজের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময়, গেরুয়া চাদর পরা একদল ছাত্র তার দিকে ধেয়ে যায়((Hijab Vs Saffron Scarf Row)। লাগাতার তারা “জয় শ্রী রাম” স্লোগান দিয়ে তারা এই হিজাবি ছাত্রীকে বিব্রত করার চেষ্টা করে। তবে মেয়েটি ভয় পাইনি। পাল্টা এই হিজাবি ছাত্রী “আল্লাহু আকবর” বলে প্রত্যুত্তর দেয়।
#KarnatakaHijabRow when a #hijabi student arrives at PES college in #Mandya. She gets heckled by students wearing #saffronshawls chanting #JaiSriRam. She raises her hand says "#AllahuAkbar befor being escorted by college staff. #Karnataka pic.twitter.com/e5aI6qAddr
— Asim Karediya (@Asimkarediya010) February 8, 2022
হাইকোর্টে এই বিষয়ে যখন শুনানি চলছে, তখন রাজ্যে প্রি-ইউনিভার্সিটি কলেজগুলিতে পাথর ছোড়া এবং লাঠিচার্জের ঘটনা ঘটল। সোমবারই চিকমাগালুরের আইডিজিএস সরকারি কলেজের দলিত পড়ুয়ারা হিজাবীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
হিজাব নিয়ে রাজ্য সরকারের নির্দেশের বিরুদ্ধে হাসান, ইয়াদাদ্রির শাহপুর, বেলগাভি, হাভেরি, শিবমোগা, ভদ্রাবতী, মান্ডা, রায়চুর, বিজয়নগর এবং বেঙ্গালুরুর চামরাজপেট এবং হোসকোটে সহ কর্ণাটকের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। পুলিশের লাঠিতে অনেকেই আহত হন।
উদুপি কলেজে হিজাবীদের কলেজে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।বাধ্য হয়ে কর্ণাটক আদালতের দ্বারস্থ হতে হয়েছে তাদের। সোমবার কলেজে কর্তৃপক্ষ তাদের ক্লাস করার অনুমতি দিলেও, এই হিজাবীদের বাসন হয়েছিল অন্য ক্লাসে।
এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এদিন সকালে, উদুপির মহাত্মা গান্ধী মেমোরিয়াল কলেজের (MGM College, Udupi) বাইরেও, একদিকে হিজাব পরা ছাত্রীদের এবং অন্য দিকে দলকে গেরুয়া চাদর ও পাগরি পরা ছাত্রদের স্লোগান দিতে দেখা গিয়েছে। কোনওমতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল পুলিশ। জানা গিয়েছে বোরখা পরা ছাত্রীরা দাবি জানিয়েছিল, তাদের বোরখা পরেই পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি দিতে হবে। পাল্টা অপর পক্ষের ছাত্ররা দাবি জানায়, তারাও সেই ক্ষেত্রে গেরুয়া চাদর ও পাগরি পরে পরীক্ষা দেবে। এই নিয়ে দুই পক্ষে প্রায় সংঘর্ষ বাঁধার পরিস্থিতি তৈরি হয়।