পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ হিজাবি ছাত্রীদের কলেজে ঢুকতে দেওয়া হলেও ক্লাসে মিললনা প্রবেশাধিকার।সোমবার কর্নাটকের উদুপি জেলার কুন্দাপুরের প্রি ইউনিভার্সিটি জুনিয়র কলেজের ঘটনা। কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ফের উঠেছে বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগ। হিজাবি ছাত্রীদের অন্যদিনের মত কলেজের গেটে আটকানো না হলেও অভিযোগ তাদের বলা হয় ক্লাস করতে গেলে হিজাব খুলেই করতে হবে। ছাত্রীরা স্বাভাবিক ভাবেই সেই প্রস্তাব প্রত্যাখান করেন। তখন তাদের অন্য ঘরে গিয়ে বসার কথা বলা হয়।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে পরিকল্পিত ভাবেই শিক্ষাঙ্গনে ছড়ানো হচ্ছে বিদ্বেষ।ধর্মনিরপেক্ষ ভারতের সংবিধান ঠিক করে দেয়নি, কে কি খাবেন, কি পোশাক পরবেন। এই ইস্যুতে তাহলে বলতে হয় উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কথা। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ভারতীয় সংবিধানের নামে তিনি শপথ নিয়ে বলেন জাতি, ধর্ম , বর্ণ নির্বিশেষে তিনি জনগণের সেবায় নিয়োজিত থাকবেন। অথচ তিনি সবসময় গেরুয়া পোশাকে পরিধান করেন, যা একটি নির্দিষ্ট ধর্মের প্রতিনিধিত্ব করে ।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই বা কিসে কম যান। বিভিন্ন সময়ে তাঁকে নানা অনুষ্ঠানে এমন পোশাকে দেখা দিয়েছে যা একটি নির্দিষ্ট ধর্মের কথাই মনে করিয়ে দেয়।তাহলে হিজাব নিয়ে এত মাথাব্যাথার কারণ কি? অন্যদিকে কালাভরা ভরদ্বাজ এম শেট্টি গভর্মেন্ট ফাস্টগ্রেড কলেজে ছাত্রীরা হিজাব পরে আসায় তাদের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
কলেজ কর্তৃপক্ষ জানান হিজাব ছাড়া ছাত্রীদের ক্লাসে ঢুকতে বলা হয়, কিন্তু তারা সেই কথা মানতে না চাওয়ায় তাদের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। আগামীকাল হাইকোর্টের নির্দেশ পর্যন্ত তাদের অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে।উল্লেখ্য মঙ্গলবার হিজাব নিয়ে হাইকোর্টে মামলার শুনানি রয়েছে। উদুপির একটি কলেজের পাঁচ ছাত্রী ওই পিটিশন দায়ের করেছেন।মঙ্গলবার সারাদেশের নজর থাকবে এই শুনানির ওপর।