পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ তালিবান আফগানিস্তান দখল নেওয়া পরে শিক্ষাব্যবস্থার কি হাল হবে, উচ্চশিক্ষার সুযোগ পাওয়া যাবে কিনা সেই বিষয়টি প্রশ্নের মুখে পড়ে। এর পর আসতে আসতে আগের চেয়ে স্বাভাবিক হয়েছে পরিবেশ পরিস্থিতি। বুধবার প্রথমবারের খুলছে দেশটির সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এদিন পুরুষ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি মহিলা শিক্ষার্থীদেরও ক্যাম্পাসে ফিরতে দেখা গেছে। তবে এর জন্য শর্ত নিশ্চিত করা হয়েছে।
সম্প্রতি তালিবানের ভারপ্রাপ্ত উচ্চশিক্ষামন্ত্রী শেখ আবদুল বাকি হাক্কানি জানান, ফেব্রুয়ারি থেকে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হবে। শীত কম পড়েছে, এমন প্রদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ২ ফেব্রুয়ারি ও শীত বেশি, এমন প্রদেশে ২৬ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হবে। তবে মেয়ে শিক্ষার্থীরা এই সুযোগ পাবেন কিনা, সেই নিয়ে সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি।
তবে মহিলা শিক্ষার্থীদের নিয়ে কোনও কিছু ঘোষণা না করানো হলে, তালিবানের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, পুরুষ শিক্ষার্থীদের থেকে আলাদা থাকার শর্তে মহিলা ক্লাস করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
পূর্বাঞ্চলীয় জালালাবাদ শহরভিত্তিক এক প্রত্যক্ষদর্শী রয়টার্সকে বলেন, আজ নানগারহার বিশ্ববিদ্যালয়ে আলাদা একটি দরজা দিয়ে মহিলা শিক্ষার্থীদের প্রবেশ করতে দেখা গেছে। এটি আফগানিস্তানের সবচেয়ে বড় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটি।
১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানে তালিবান শাসন চলার সময়ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মহিলা শিক্ষার্থীরা নিষিদ্ধ ছিলেন। তবে ২০২১ সালের ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানে আবারও ক্ষমতা দখল করার পর তালিবান সদস্যরা দাবি করেন, তারা আর আগের মতো নেই। পরিস্থিতি অনুযায়ী সব রকম ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।
সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে মহিলা শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্ত করার এ সিদ্ধান্তকে গতকাল মঙ্গলবার রাতেই স্বাগত জানিয়েছে আফগানিস্তানে নিয়োজিত জাতিসংঘ মিশন।
এই প্রসঙ্গে জাতিসংঘ মিশন একটি ট্যুইটারে পোস্ট করে জানান, টুইটার পোস্টে বলা হয়, ‘২ ফেব্রুয়ারি থেকে সব পুরুষ ও মহিলা শিক্ষার্থীর জন্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার ব্যাপারে তালেবান যে ঘোষণা দিয়েছে, তাকে স্বাগত জানায় জাতিসংঘ। প্রতিটি মানুষের শিক্ষা অর্জনের ক্ষেত্রে সমান সুযোগ পাওয়া জরুরি।’
সূত্রের খবর, ওই প্রতিষ্ঠানের মহিলা ও পুরুষ শিক্ষার্থীদের আলাদা কক্ষে পাঠদান করা হবে। অনেক প্রদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আগে থেকেই এ নিয়ম চালু আছে।