পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ কেন্দ্রের দেওয়া পদ্ম সন্মান ফিরিয়ে দিয়েছেন কিংবদন্তী সঙ্গীতশিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় এবং রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তাঁদের এই সিদ্ধান্ত কে অনেকেই কুর্নিশ জানিয়েছেন। তবে শুধুই সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় বা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য নন, কেন্দ্রের পদ্ম সন্মান কে এর আগেও হাসিমুখে প্রত্যাখ্যান করেছেন আরও চার কিংবদন্তী বাঙালি।
উল্লেখ্য ১৯৫৪ সালের ২ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি কর্তৃক পদ্ম সম্মানের প্রবর্তন হয়। জাতির প্রতি বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এই পদ্ম সম্মান প্রদান করে থাকেন কেন্দ্রীয় সরকার। পদ্মবিভূষণ, পদ্মভূষণ ও পদ্মশ্রী এই তিন বিভাগে দেওয়া হয়ে পুরস্কারগুলো।
এবার দেখে নেওয়া যাক এর আগেও কোন কোন বাঙালি এই সম্মাননা ফিরিয়ে দিয়েছেন।
শিশির কুমার ভাদুড়ী
পদ্ম সম্মান প্রত্যাখ্যানের শুরু হয়েছিল নাট্যাচার্য শিশিরকুমার ভাদুড়ীর মাধ্যমে। কেন্দ্রের তৎকালীন কংগ্রেস সরকারের মনে হয়ছিল বাংলার বিশিষ্ট এই ব্যক্তিত্বকে পদ্ম সম্মান দেওয়া দরকার। আর শিশিরবাবুর বয়স তখন ৭০ বছর। সরকারের দেওয়া সম্মান নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে নাট্যমঞ্চের বিশিষ্ট এই শিল্পী বলেছিলেন, ‘রাষ্ট্রীয় সম্মান আসলে স্তাবকের দল তৈরির এটা চেষ্টামাত্র।‘
বিশিষ্ট সাংবাদিক নিখিল চক্রবর্তী
পদ্ম সন্মান ফিরিয়ে দেন প্রখ্যাত সাংবাদিক নিখিল চক্রবর্তী। সেই সময়ে কেন্দ্রে আসীন কংগ্রেস সরকার। কেন্দ্রকে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, একজন সাংবাদিকের ওপর রাষ্ট্রের বদান্যতার বোঝা থাকা উচিত নয়।
কিংবদন্তী সঙ্গীত শিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়
বাংলার স্বর্ণযুগের শিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। ১৯৮৮ সালে কেন্দ্রের তরফ থেকে বিশিষ্ট এই শিল্পীকে পদ্ম সম্মান দেওয়া হলে তিনি তা গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানান।
নাট্যকার বাদল সরকার
নাট্যকার বাদল সরকার। তাকে প্রথমবার ১৯৭২ সালে দেওয়া হয়েছিল পদ্মশ্রী। তিনি তা নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। তার চার বছর আগে বাদল সরকার পেয়েছিলেন সঙ্গীত-নাটক একাডেমি সম্মান। বাদল সরকার বলেন, লেখক হিসেবে তিনি তাঁর প্রাপ্য সম্মান পেয়ে গিয়েছেন। তাঁর আর নতুন করে কোন সম্মানের প্রয়োজন নেই।
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়
ব্যতিক্রম প্রয়াত অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, প্রথমে পদ্মশ্রী সম্মান প্রত্যাখান করেন তিনি, ১৯৭০ সালে পদ্মশ্রী প্রত্যাখ্যান করলেও ২০০৪ সালে পদ্মভূষণ গ্রহণ করেন।