ইয়েমেনের ড্রোন হামলার বদলা নিল সৌদি৷ শুক্রবার সৌদির হানায় ইয়েমেনে কমপক্ষে মৃত্যু হল ৭০ জনের৷ আহত শতাধিক৷ শুক্রবার সাদা প্রদেশের বন্দর শহর হোবেইদার একটি ডিটেনশন সেন্টারে এয়ারস্ট্রাইক করে সৌদি৷ উপগ্রহ থেকে পাওয়া ছবি থেকে এয়ারস্ট্রাইকের প্রমাণ মিলেছে৷ হামলা করা হয় ইয়েমেনের টেলিকমিউনিকেশন সেন্টারে৷ যার দরুণ গোটা দেশে ভেঙে পড়ে ইন্টারনেট ব্যবস্থা৷
চলতি সপ্তাহে সৌদির রাজধানী রিয়াধে ড্রোনের সাহায্যে মিসাইল হামলার ঘটনা ঘটে৷ তাতে মৃত্যু হয় তিন জনের৷ ইয়েমেনের বিদ্রোহী হাউথি বাহিনী ওই হামলার দায় স্বীকার করে৷ তখনই বদলার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল সৌদি৷ তারপরই আজকের এয়ারস্ট্রাইক৷ দুই দেশের মধ্যে হিংসার ঘটনা নতুন নয়৷ ২০১৪ সাল থেকে ইয়েমেনে গৃহযুদ্ধ শুরুর পরই বিদ্রোহী বাহিনীকে ঠেকাতে ময়দানে নামে সৌদি৷ কিন্তু শুক্রবারের হামলা সৌদি-ইয়েমেনের মধ্যে চলতে থাকা দ্বন্দ্বকে উচ্চ মাত্রায় নিয়ে গেল৷
হামলায় বিধ্বস্ত শহরের ফুটেজ পরে প্রকাশ্যে আনে হুথি বাহিনী৷ তাতে দেখা গিয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে৷ হোবেইদার দক্ষিণে টেলিকমিউনিকেশ সেন্টারে এয়ারস্ট্রাইক করা হয়৷ ওই সময় আশেপাশে খেলা করছিল কয়েকজন শিশু৷ হামলায় তাদের মৃত্যু ঘটে৷
এদিকে সৌদির ভয়াবহ হামলার পরই ইয়েমেনে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা৷ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ১০০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে৷ আহতদের ভিড়ে হাসপাতালে দাঁড়ানোর জায়গা পর্যন্ত নেই৷ হাসপাতাল সূত্রে খবর, হামলায় ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ আহত হয়েছেন ১৩৮ জন৷ অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক৷