শুভজিৎ দেবনাথ– ধূপগুড়ি,করোনা মহামারীর জেরে এক দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ রয়েছে স্কুল। আর এই সময়কে কাজে লাগিয়েই ডুর্য়াসে জীবন হাতে নিয়ে চা ফুল তুলতে ব্যস্ত ছোট্ট ছোট্ট পড়ুয়ারা চা বাগানে অনেকসময় লেপার্ড– বাইসনের হামলা দেখা যায়। পড়ুয়ারা সব বাধা অতিক্রম করে– নিজেদের জীবন হাতে নিয়েও ফুল তুলতে উৎসাহী হয়। চা ফুল খেতে খুবই সুস্বাদু– তাছাড়া এই ফুল বিক্রি করে দুপয়সা ইনকামও হয়। সূত্রের খবর– চা বাগানের এলাকায় এই পরিবারগুলি মূলত জীবন সংগ্রামে ব্রতী। বাগানের এই বাচ্চারা যখন ফুল তুলতে ব্যস্ত তখন লেপার্ডরা প্রজননে ব্যস্ত। আজকাল আবার ভাল্লুকও সেখানে আস্তানা গেড়েছে বলে শোনা যায়। যার জেরে অর্তকিতে প্রাণও যায় এইসব কচি-কাচাদের। বাগানের এক পড়ুয়ারার কথায়– লক ডাউনে স্কুল বন্ধ– পরিবারের মুখে একটু হাসি ফোটাতে তথা দুপয়সা বাড়তি রোজগারের আশায় এখানে ফুল তুলতে আসা। ভয় লাগে না! উত্তর– পেটের জ্বালা যে বাবু বড়ও জ্বালা। বাড়িতে এই ফুল নিয়ে গেলে অনেক সময় মা বড়া বানিয়ে দেয়। যা দিয়ে কিছুক্ষণের জন্য পেট ভরে থাকে। আবার বড়লোকের বউ-বিটিরা এই ফুল খোঁজে বিভিন্ন রকমের রান্নার পদ বানাবে বলে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পার্থ চ্যাটার্জীর মতে– স্কুল বন্ধ থাকার জেরেই মূলত এই সমস্যাগুলি দেখা যাচ্ছে। তবে স্কুল খুললেই পড়ুয়ারা আবার স্কুলমুখী হবে– তখন আর তাঁরা চা বাগানে ফুল তুলতে যাবেনা।
এ বিষয়ে পরিবেশ প্রেমী সংস্থা ডুয়ার্স নেচার অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার সোসাইটির কর্মকর্তা নফসর আলী বলেন– বাগানে সচেতনামূলক ক্যাম্প করে ফুল তোলা বন্ধ করতে হবে।