পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ গোটা বিশ্বজুড়ে তৈরি হয়েছে করোনার দাপট। তার সঙ্গে জুটি বেঁধে আতঙ্ক বাড়িয়ে চলেছে ওমিক্রন। টিকাকরণে আরও তোড়জোড় শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে চলছে বুস্টার ডোজ। তবে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন দেশ দুটি টিকা দেওয়ার পর প্রাপ্ত বয়স্কদের বুস্টার ডোজও দেওয়ার কর্মসূচী শুরু করেছে। তবে কয়েকটি দেশে শিশুদেরও বুস্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছে। তবে এ ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে জানিয়ে দিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন।
কিশোর ও তরুণদের করোনাভাইরাসের বুস্টার ডোজ দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার পক্ষে কোনও তথ্যপ্রমাণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন।
মঙ্গলবার এই মন্তব্য করে সৌম্য স্বামীনাথন বলেছেন, ‘এখন এমন কোনও তথ্যপ্রমাণ নেই, যার জন্য স্বাস্থ্যবান শিশু, কিশোর ও তরুণদের বুস্টার ডোজ দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। সৌম্য স্বামীনাথন আরও বলেন, তাই কোনও বয়সী মানুষের বুস্টার ডোজ প্রয়োজন তা নির্ধারণ করতে আরও গবেষণার প্রয়োজন।”
সৌম্য স্বামীনাথন বলেন, কিভাবে দেশগুলো তাদের জনসংখ্যার মধ্যে বুস্টার ডোজ বিতরণ করবে সে বিষয়ক সুনির্দিষ্ট প্রশ্ন নিয়ে এ সপ্তাহের শেষের দিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার শীর্ষ বিশেষজ্ঞরা মিটিংয়ে বসছেন।
তিনি বলেন, এই মুহূর্তে প্রধান লক্ষ্য হল সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের সুরক্ষা দেওয়া। এর মধ্যে রয়েছেন আমাদের প্রবীণ মানুষেরা। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কম এমন সব মানুষ ও স্বাস্থ্যকর্মীরা।
উল্লেখ্য, ইসরায়েলে ১২ বছর বয়সী শিশুদেরও বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু করেছে। এ মাসের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) সেখানকার ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশু-কিশোরদের ফাইজার/বায়োএনটেকের বুস্টার ডোজ অনুমোদন দিয়েছে। গত সপ্তাহে জার্মানিও প্রায় একই কর্মসূচী নেয়। তারা ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী সবাইকে বুস্টার ডোজ নেওয়ার সুপারিশ করেছে। হাঙ্গেরিও একই পথে হেঁটেছে।