রবিদাস জয়ন্তীর কারণে নির্বাচন কমিশনের কাছে ভোট ৬ দিন পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী।আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি বিধানসভা ভোট হবে সীমান্তবর্তী এই রাজ্যে। সোমবার তেমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন ।
আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি গুরু রবিদাসের জন্ম জয়ন্তী। কিন্তু এই অনুষ্ঠান চলে এক মাস ধরে। রাজ্যের তফসিলি জাতি ও উপজাতির সদস্যরা এই সময় ভক্তি আন্দোলনের এই সন্তকে শ্রদ্ধা জানাতে উত্তর প্রদেশের বারাণসীতে যান। সেই কারণেই রাজ্যের প্রথম সারির রাজনৈতিক দলগুলি ভোট পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে ছিল। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এদিন সকাল থেকেই বৈঠকে বসেছিলেন নির্বাচন কমিশন।
বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুভাষ শর্মাও গুরু রবিদাসের ভক্তদের কথা বিবেচনা করে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন এই সময় ভোট হলে প্রায় ৩২ শতাংশ তফসিলির জাতির মানুষ ভোট দিতে পারবেন না। ক্ষুন্ন হবে তাদের ভোট দানের অধিকার। আম আদমি পার্টির পক্ষ থেকে ভগবম মানও টুইট করে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন।
গুরু রবিদাস ১৫-১৬ শতাব্দীতে মীরাবাইয়ের মতই কৃষ্ণের ভক্ত ছিলেন। তিনি কৃষ্ণের পাশাপাশি রামেও আরাধনা করতেন। ভক্তি আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন তিনি। পঞ্জাব, হরিয়ানার পাশাপাশি উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান, গুজরাট, মহারাষ্ট্রে রবিবাদ একটি গুরু বা শিক্ষক হিসেবে এখনও পূজিত হন। বহু মানুষ আরও মেনে চলেন তাঁর আদর্শ নীতি। তাঁর অনুগামীদের রবিদাসা বলা হয়।