পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ পশ্চিমা দুনিয়ায় ক্রমাগত বাড়তে থাকা ইসলামাতঙ্ক বা ইসলামোফোবিয়া ও বর্ণবিদ্বেষ নিয়ে ফের একবার সরব হলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান। এরদোগান অভিযোগ করে বলেছেন, একটি যৌথ অভিবাসন নীতি প্রতিষ্ঠা করা, জেনোফোবিয়া বা বিদেশি-ভীতি, এবং ইসলামোফোবিয়া বা ইসলাম-ভীতির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকে একপাশে সরিয়ে রেখে নীরবতা বজায় রেখেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে উল্লেখযোগ্য কোনও পদক্ষেপ নেয়নি তারা। অথচ তুরস্ক এমন একটি দেশ যেখানে কোনও বিদ্বেষ নেই, নেই বিদেশীদের ভয় বা নিরাপত্তার খামতি। তুরস্কের আইনে যে কোনও ধরনের বিদ্বেষের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার উল্লেখ আছে। ইইউ-এর সদস্য হওয়ার ক্ষেত্রে একটি প্রার্থী দেশ তুরস্ক। সেই দেশের প্রেসিডেন্ট হিসেবে এরদোগান বলেন, তুরস্ক এই ব্লকের (ইইউ) সাথে সরবরাহ চেন, অভিবাসন, প্রতিরক্ষা, জেনোফোবিয়া এবং ইসলামোফোবিয়া, স্বাস্থ্য এবং জ্বালানি বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, তুরস্ক যেকোনও সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করে থাকে। আঙ্কারার সাথে ইইউয়ের সম্পর্ককে অবশ্যই এগিয়ে যেতে হবে। ইইউ সদস্য দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বার্ষিক বৈঠকে এরদোগান বলেন, নতুন বছরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের উচিত হবে তুরস্কের সাথে তার ‘অদূরদর্শিতা’ দূরে সরিয়ে রাখা এবং আঙ্কারার সাথে সম্পর্ক উন্নত করার জন্য আরও সাহসিকতার সাথে কাজ করা। জোটের মধ্যে সংহতির অজুহাত দেখিয়ে ইইউ ও তুরস্কের মধ্যে সম্পর্কে খারাপ করার চেষ্টা চলছে বলেও অভিযোগ তোলেন প্রেসিডেন্ট এরদোগান। বলেন, ইইউকে অবশ্যই এই ধরনের পদ্ধতির বিরুদ্ধে কাজ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, ’তুরস্ক আলোচনার মাধ্যমে একটি কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার বিষয় নিয়ে কাজ করছে৷ উচ্চ পর্যায়ের সফর এবং আলোচনার পাশাপাশি আমরা জলবায়ু পরিবর্তন, নিরাপত্তা, অভিবাসন এবং স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত উচ্চ পর্যায়ের সংলাপেও অংশ নিয়েছি।’ তবে তুরস্কের এসব ইতিবাচক পদক্ষেপ সত্ত্বেও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি বলে জানান এরদোগান।