পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : সিএবির অধীনে যে’কটি ক্রিকেট প্রতিযোগিতা রয়েছে– তার প্রত্যেকটিতেই কালীঘাট এই মুহূর্তে বড় নাম। এমনকি মোহনবাগান– ইস্টবেঙ্গলের থেকেও বাংলার ক্রিকেটে শাসন করা দলটার নাম কালীঘাট। একটা সময় সিএবি লিগ– নক আউট– এ এন ঘোষ– জেসি মুখার্জিসহ পাঁচটি ট্রফির পাঁচটিতেই জিতেছে কালীঘাট। মোহনবাগান ছাড়া সেই অর্থে কালীঘাটের সমকক্ষ কোনও ক্রিকেট টিম সেই সময় কিছুটা দুর্লভ ছিল।
কালীঘাট ক্লাবের ক্রিকেট ঐতিহ্য নিয়ে বলতে গিয়ে ক্লাবের মাঠ সচিব তথা সিএবি– মোহনবাগান– ইস্টবেঙ্গল– মহামেডান– এরিয়ান্সের সদস্য আরিফুর রহমান মনু বলেন– ‘কালীঘাট চিরকালই বাংলার ক্রিকেটের সাপ্লাই লাইন। কে খেলে যাননি এই কালীঘাটে? তাবড় তাবড় ক্রিকেটাররা এখানে খেলে গিয়েছেন। পাঁচটি ট্রফির সবক’টিই যেবার কালীঘাট পায়– সেই দলে ছিলেন লক্ষীরতন শুক্লা– সৌরাশিস লাহিড়ীরা। তারা এখন আর এই ক্লাবে নেই। কিন্তু প্রয়োজনে তাদেরও পাশে পায় কালীঘাট ক্লাব।
বাংলার ক্রিকেটে কালীঘাট ক্লাবের আর এক অবদান পি সেন মেমোরিয়াল কোচিং সেন্টার। অ্যাকাডেমির স্টাইলে এখান থেকে নতুন ক্রিকেটার তুলে আনার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছে কালীঘাট ক্লাব। পি সেন মেমোরিয়াল ট্রফি শুরু হয় প্রবীর কুমার সেনের নামে। ১৯৯১ সালে তৈরি হয় এই পি সেন মেমোরিয়াল কোচিং সেন্টার।
এই কোচিং সেন্টার তৈরি করতে যাদের অবদান অনস্বীকার্য তারা হলেন নতু কোলে (এন সি কোলে নামে খ্যাত)– বাবলু কোলে– আলহাজ্ব হবিবুর রহমানসহ আরও অনেকে। মতিউর রহমান এই পি সেন মেমোরিয়াল কোচিং সেন্টার পরিচালনা করতেন। তিনি আজও আছেন।
বর্তমানে এই কোচিং সেন্টারের যে পিচ ও নেট রয়েছে তা চালাতে উল্লেখযোগ্য ভূিমকা গ্রহণ করছেন বর্তমান ভারতীয় দলের অন্যতম সেরা টেস্ট উইকেট কিপার ঋদ্ধিমান সাহা। কে নেই এখানে? বাংলা তথা কেকেআরের হয়ে খেলা সৌরভ সরকার– অভিজিৎ সিকদার– দেবব্রত দাস– কামাল হোসেন প্রত্যেকেই বাংলার ক্রিকেটের সঙ্গে সঙ্গে কালীঘাট ক্রিকেটের ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা গ্রহণ করে যাচ্ছেন।
জানা যায়– কালীঘাট ক্লাবই প্রথম বাংলার মহিলা দল উপহার দেয়। মহিলা ক্রিকেট চালু হয় কালীঘাট ক্লাব থেকেই। শুধু তাই নয় প্রথম যে ভারতীয় মহিলা দল তৈরি হয়েছিল সেই দলের সাতজন ক্রিকেটারই ছিলেন বাংলার। ছিলেন লোপামুদ্রা ভট্টাচার্য– স্নেহা রায়– সন্ধ্যা চ্যাটার্জি– শর্মিলা চক্রবর্তী– গার্গী ব্যানার্জিদের মতো ক্রিকেটার।
বর্তমানে কালীঘাটের ক্রিকেট টিমের কোচ সঞ্জীব সান্যাল। বাংলা দলে যার অবদান অনস্বীকার্য। সৌরভ সরকার গোটা দলটাকে নিজের পরিবারের মতো করে গাইড করছেন। সঙ্গে রয়েছেন শুভম চ্যাটার্জির মতো প্রতিভাবান ক্রিকেটারও। এখনও বাংলা দলে তিনি সুযোগ না পেলেও অধিনায়ক সৌরভের কথায়– ‘শুভম দারুণ ক্রিকেটার। জানি না কেন ওকে এখনও বাংলা দলে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। তবে আমি নিশ্চিত ও কোনও একদিন বাংলা দলে সুযোগ পাবেই।’