ইনামুল হক, বসিরহাটঃ মকরসংক্রান্তিতে মঙ্গল কামনায় পূণ্যতীর্থ গঙ্গাসাগরে ডুব স্নানে পূণ্যার্থীদের ভিড় রুখতে নয়া উদ্যোগ নিলেন স্বয়ং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা সংক্রমণ রুখতে জেলায় জেলায় পৌঁছে দিলেন গঙ্গাসাগরের পূণ্য বারি।
বৃহস্পতিবার উত্তর ২৪ পরগনায় দেগঙ্গার লোকনাথ বাবার চাকলা ও বসিরহাটের কচুয়ার দুই ধামে এসে পৌছালো গঙ্গাসাগরবারি ভর্তি বিশালাকার পিতল রংয়ের ফাইবারের দুটি তাম্বুলকুন্ড। যার ভিতরে রয়েছে ১০ লিটার পবিত্র গঙ্গা সাগরের পুণ্য বারি।
বৃহস্পতিবার গঙ্গাসাগর থেকে বিশেষ ট্রেনে করে এই জল আনা হয়। কচুয়া ধামের মন্দির কমিটির পক্ষে বিশ্বরূপ মন্ডল জানান, জেলাশাসকের নির্দেশে বসিরহাট ২ ব্লক আধিকারিক এর প্রতিনিধির তত্ত্বাবধানে এদিন বেলা দশটা নাগাদ বসিরহাটের কাঁকড়া মির্জানগর স্টেশনে এসে পৌঁছয় এই পূণ্যবারি ভর্তি তাম্বুল কুণ্ড দুটি।
এখান থেকে মন্দিরে আনা হয় । চাকলা ও কচুয়া দুই ধাম থেকে এই এই জল সংগ্রহ করতে পারবেন পুণ্যার্থীরা। বাড়িতে বসে সেরে নিতে পারবেন গঙ্গাসাগরের স্নান।করোনা সংক্রমণ রুখতে মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন দুই ধামের কর্মকর্তারা। রাজ্য সরকারের “পূণ্যতরী” এদিন জেলার দুটি ধামে এসে পৌঁছতেই তা মুল নাটমন্দিরের সামনে বসানো হয়।
চাকলা লোকনাথ মন্দিরের সদস্য বাবিন হাজরা জানান, রাজ্যের বন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সহযোগিতায় মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে আমরা এই গঙ্গাসাগরের পূণ্য বারি পেলাম। শুক্রবার থেকে ভক্তের মধ্যে এই পবিত্রজল বিতরণ করা হবে কোভিড বিধি মেনে।কচুয়া লোকনাথ মিশনের পক্ষ থেকে বিশ্বরূপ মন্ডল বলেন, করোনা সংক্রমন যখন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। তখন সেই সংক্রমন রুখতে একমাত্র পথে নেমেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। গঙ্গাসাগর মেলায় পূণ্যার্থীদের ভিড় কমাতে এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। এদিন মন্দিরে হাজির হন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের বন ও ভূমি স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ বিশিষ্ট সমাজকর্মী একেএম ফারহাদ। কোভিড প্রটোকল মেনে লোকনাথ ধামের মূল ফটকের সামনে উপস্থিত মানুষের হাতে মাস্ক,স্যানিটাইজার বিতরণ করতে দেখা যায় ফারহাদকে। তিনি বলেন, বাংলার জনমোহিনী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে কোভিডকে জয় করার জন্য জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের আধিকারিকরা তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছে।তাই সকলের কাছে তিনি আহ্বান করেন সরকারি নির্দেশিকা মেনে চলার জন্য। উপস্থিত ছিলেন কচুয়া ধাম লোকনাথ ব্রহ্মচারী মন্দিরের সম্পাদক তুষার বসাক, সভাপতি বিঞ্চুপদ রায় ও কমিটির অন্যতম সদস্য বিশ্বরূপ মন্ডলরা।