পুবের কলম প্রতিবেদকঃ দিল্লি মাইনোরিটি কমিশনের অ্যাডভাইজরি কমিটির সদস্য হলেন বাংলার সুরমান আলি মণ্ডল। গত ৩০ ডিসেম্বর তাঁকে দিল্লি মাইনোরিটি কমিশনের অ্যাডভাইজরি কমিটির সদস্য হিসাবে মনোনীত করেন চেয়ারম্যান জাকির খান। দিল্লি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল-এর দফতরের অধীনেই রয়েছে দিল্লি মাইনোরিটি কমিশন।
দিল্লিতে বহু সংখ্যালঘু বসবাস করেন। বাংলার বহু শ্রমিক দিল্লিতে নানা কাজের জন্য থাকেন। দিল্লির সংখ্যালঘু মুসলিমদের কল্যাণে তিনি আগামী দিনে কাজ করবেন বলে সুরমান আলি মণ্ডল জানান। তিনি আরও জানিয়েছেন, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল তাঁকে দিল্লি মাইনোরিটি কমিশনের মুসলিম অ্যাডভাইজরি কমিটিতে সুযোগ করে দিয়েছেন তার জন্য তিনি কৃতজ্ঞ। দিল্লিতে বহু সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকা রয়েছে– সেই সমস্ত এলাকাগুলিতে শিক্ষা– স্বাস্থ্য ভোকেশনাল ট্রেনিং-এর জন্য আগামীদিনে কাজ করবেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মোকতার আব্বাস নকভির কাছেও তিনি কৃতজ্ঞ। তিনি দিল্লিতে সংখ্যালঘু উন্নয়নে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছেন। তাঁর দফতর থেকে অনুদানের ব্যবস্থা করে সংখ্যালঘু উন্নয়নে কাজ করা হবে বলে সুরমান আলি মণ্ডল জানান– দিল্লিতেও এখন সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় পর্যাপ্ত হস্টেল নেই। যে এলাকায় হস্টেল নেই সেখানে হস্টেল তৈরির উদ্যোগ নেবেন। পাশাপাশি– মুসলিম মহল্লায় যাতে সংখ্যালঘুদের কর্মসংস্থান হয় সে ব্যাপারে উদ্যোগ নেবেন।
বাংলায় যাতে কিছু কাজ করতে পারেন তার জন্য আগামী দিনে চেষ্টা করবেন বলে সুরমান আলি জানান।
বাংলা থাকতে দিল্লিতে কেন– এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন– বাংলার বাইরে এর আগেও তিনি কাজ করেছেন। মধ্য প্রদেশে সেন্ট্রাল ওয়ার হাউস কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার তিন বছর কাজ করেছেন। ২০১৭-২০ সাল পর্যন্ত ছিলেন। এই সংস্থাটি ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার। সেই সময়ও সুনামের সঙ্গে কাজ করেছিলেন বলে আবার দায়িত্ব পেয়েছেন।
সুরমান আলি মণ্ডল বেঙ্গল কালচারাল অর্গানাইজেশন নামে একটি সংগঠনের চেয়ারম্যান। বিভিন্ন সময়ে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে এসেছে। এক্ষেত্রে তার সংস্থাটি সফলও হয়েছে। রাজ্যপাল এবং রাষ্ট্রপতির কাছেও ন্যায় বিচার চেয়ে দ্বারস্থ হয়েছেন।
বাংলার এই তরুণ তুর্কির আদি বাড়ি বর্ধমানে। বর্তমানে কলকাতা এবং দিল্লিতেই কাজের সূত্রে বেশি থাকেন। সুযোগ পেলে আগামী দিনে বাংলার সংখ্যালঘুদের উন্নয়নেও কাজ করতে চান।