পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ দেশ-বিদেশের বিভিন্ন শপিং মলগুলিতে ম্যানিকুইনের ওপর পোশাক পরিয়ে সেইগুলিকে দোকানের সামনে সারি দিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখা নতুন কিছু নয়। তবে এবার অশ্লীল ভঙ্গিতে দাঁড় করিয়ে রাখা মুর্তি নিয়ে আপত্তি জানাল তালিবান।
তালিবানের বক্তব্য, এই ধরনের মহিলাদের অশ্লীল বা অর্ধ নগ্ন অবস্থায় সাজিয়ে রাখার কার্যকলাপ ইসলাম পরিপন্থী। ইতিমধ্যেই তালিবানের পক্ষ থেকে দোকানের মধ্যে থাকা ম্যানিকুইনের মাথা কাপড় দিয়ে ঢেকে দিতে বলা হয়েছে। এদিকে এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ একাংশ দোকানের মালিক থেকে বিক্রেতারা। তাদের বক্তব্য এইভাবে ম্যানিকুইনের মাথা ঢেকে দিলে সমস্যায় পড়তে হবে তাদের। বিক্রি বন্ধও হয়ে যেতে পারে।
এদিকে তালিবানের বক্তব্য, ইসলাম অনুসারী হিসাবে দাবি করা ব্যক্তিরা ইসলামী আইন লঙ্ঘন করছে। পশ্চিম আফগানিস্তানে ইতিমধ্যেই তালিবানের তরফ থেকে প্রত্যেক ফ্যাশান ও পোশাক দোকানের মালিকের কাছে এই নির্দেশ পাঠানো হয়েছে।
সম্প্রতি হেরাতে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে দোকানে রাখা ম্যানিকুইনগুলির মাথা নেই। আবার অনেক ক্ষেত্রে দোকানের কর্মচারীরা ম্যানিকুইনগুলির মাথা কাপড় দিয়ে ঢেকে দিচ্ছে স্কার্ফ বা ওড়না দিয়ে।
হেরাতের প্রতিরোধ মন্ত্রণালয়ের প্রধান আজিজ রহমান বুধবার এএফপিকে তালিবানের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আজিজ রহমান জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই বহু দোকানের মালিকরাই স্কার্ফ বা ওড়না দিয়ে ম্যানিকুইনগুলি মাথা ঢেকে দিয়েছে।
ইতিমধ্যেই প্রায় ৬ লাখের ওপরে দোকানের মালিকরা তালিবানের এই নির্দেশ অনুসরণ করেছে। বশির আহমেদ নামে এক জামা-কাপড় বিক্রেতা জানিয়েছেন, এই ম্যানিকুইনগুলি প্রচুর দাম দিয়ে কিনতে হয়। কিনতে খরচ পড়ে ৫০০০ আফগানি।
দোকানে ঢুকে পছন্দের পোশাকটি যখন ম্যানিকুইনের শরীরে পরানো অবস্থায় দেখে, তখন কাস্টমার পোশাকটির প্রতি আকৃষ্ট হয়। কিন্তু দোকানে যদি আমরা ম্যানিকুইনকে পোশাকের ডিজাইন অনুযায়ী সাজিয়ে গুজিয়ে না রাখতে পারি, তাহলে দামি দামি জামাগুলি বিক্রি হবে কি করে?