সাহিন হোসেন, সাগরদিঘি: সাগরদিঘিতে তিন সন্তানকে নিয়ে গঙ্গায় ডুব দেওয়ার ঘটনায় আজ, শনিবার উদ্ধার হল মা রেবিনা খাতুনের দেহ। শুক্রবারই রেবিনার শিশুকন্যা খাতিজা খাতুনের(৪) দেহ উদ্ধার হয়। এখনও নিখোঁজ দুই সন্তান। তাদের উদ্ধারে খোঁজ চালাচ্ছে ডুবুরি।
শুক্রবার দুপুরে মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির কাবিলপুর তেজরায়পুর ঘাটে একটি শিশুর লাশ ভাসতে দেখে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকাজুড়ে। মৃতের আত্মীয়রা দেহ দেখে চিনতে পারে। শিশুটির নাম খাতিজা খাতুন(৪)। খাদিজা খাতুনের দেহটি স্থানীয় থানার পুলিশ উদ্ধার করে শনিবার ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
কয়েক বছর আগে স্থানীয় ভূপেন্দ্রনগরের ওবাইদুর রহমানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন কাবিলপুর কুলবুনাপাড়ার রেবিনা খাতুন। মৃতের আত্মীয় আরিফুল হক জানান, বৃহস্পতিবার রাতে পারিবারিক অশান্তির জেরে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। শুক্রবার তিন ছেলেমেয়ে নিয়ে নিঁখোজ হন রেবিনা খাতুন। শুক্রবার নদী থেকে খাতিজা খাতুনের(৪) দেহ উদ্ধারের পর পরিবারসূত্রে দাবি জানানো হয়, পারিবারিক অশান্তির জেরে মা তার তিন সন্তানকে নিয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়েছেন।
শনিবার সকালে কাবিলপুর তেজরায়পুর ঘাটে ডুবুরি এসে পৌঁছায়। ডুবুরিদের চেষ্টায় দুপুর প্রায় ১২ টা ৩০ নাগাদ মা রেবিনা খাতুনের লাশ উদ্ধার হয়। এরপর রেবিনা খাতুনের দুই ছেলে জসিম সেখ(৬) ও সায়ন সেখ(৩১ দিন) কে উদ্ধারের জন্য ডুবুরিরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যান। এই খবর লেখা পর্যন্ত এখনও পর্যন্ত তাদের সন্ধান মেলেনি। ঠিক কি কারণে এই মর্মান্তিক ঘটনা তা জানতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য রয়েছে।