পুবের কলম প্রতিবেদক– হাওড়া, হাওড়ায় দম্পতির অস্বাভাবিক মৃত্যু। স্ত্রীর ফেসবুক ব্যবহার করা নিয়ে এই ঘটনা নাকি ঘটনার নেপথ্যে অন্য কিছু তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। হাওড়ার চ্যাটার্জি হাটে এক দম্পতির রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। রবিবার দুপুরে ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে তাদের দেহ উদ্ধার হয়। স্বামীর দেহ ঝুলছিল সিলিং ফ্যানের সঙ্গে। গায়ে চাদর ঢাকা অবস্থায় মেঝেতে মৃত অবস্থায় পড়েছিলেন তার স্ত্রী। এদের দুই মেয়ে ঘটনার সময় বাড়ির বাইরে টিউশনে গিয়েছিল। তারা বাড়িতে এসে ঘরের দরজা বন্ধ দেখে ডাকাডাকি শুরু করে। বাবা-মা কেউ দরজা না খোলায় তারা প্রতিবেশীদের সঙ্গে নিয়ে থানায় খবর দেয়। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে দেহ দুটি উদ্ধার করে। মৃতদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে– চ্যাটার্জি হাটের নন্দলাল মুখার্জি লেনে বহুতলের নিচের ফ্ল্যাট থেকে দু’টি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। স্বামী গৌতম মাইতি (৪৬) ও স্ত্রী মৌসুমী মাইতির (৩৫) দেহ উদ্ধার হয়েছে। স্ত্রীর দেহ মেঝেতে গায়ে চাদর ঢাকা অবস্থায় পড়েছিল। আর স্বামীর দেহ সিলিংয়ে ঝুলছিল। গৌতমবাবু পেশায় একটি হোটেল কাম-বারের ম্যানেজার ছিলেন। কী কারণে এই ঘটনা বা মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তবে– দম্পতির বড় মেয়ে জানায়– তার মা ফেসবুক করতেন বলে বাবার তীব্র আপত্তি ছিল। বাবা চাইতেন মা বেশি স্মার্টফোন না দেখুক। এই নিয়ে বাবার সঙ্গে অশান্তি হত মায়ের। আজকে ড্রয়িং টিউশনে গিয়েছিলাম। ফিরে এসে দেখি দরজা বন্ধ। বেল বাজালেও দরজা খোলেনি । পরে এই ঘটনা জানতে পারি।’
স্থানীয় বাসিন্দা পিন্টু মণ্ডল জানান– ‘আমি খবর পাই প্রতিবেশী এক দম্পতি আত্মহত্যা করেছেন। সেখানে গিয়ে গিয়ে দেখি— মহিলা মাটিতে পড়ে আছেন। ভদ্রলোক গলায় দড়ি দিয়েছেন। অনুমান করা হচ্ছে স্ত্রীকে মেরে হয়তো স্বামী আত্মহত্যা করেছেন। মৃত মহিলার সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্তি ছিল বলে শুনেছি।’ এদিকে– এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে চ্যাটার্জিহাট থানার পুলিশ। ফেসবুক ব্যবহার করা নিয়ে এই ঘটনা নাকি ঘটনার নেপথ্যে অন্য কিছু তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।