পুবের কলম প্রতিবেদকঃ ফের যে তাঁর দেখা পাবেন, এ আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন পরিবারের লোকজন। এক রমযানে হারিয়ে যান রাজিয়া বিবি। মানসিক ভারসাম্যহীন রাজিয়া বিবি বলতেও পারতেন না নিজের পরিচয়। তবে তিনি বলতে না পারলেও রেডিও তাঁকে মিলিয়ে দিল পরিজনদের সঙ্গে।
বরিশালে রাজিয়ার বাড়ি। কিভাবে তিনি মেদিনীপুরের ঝাড়গ্রামে এলেন তা কেউ জানে না। মাস ছয়েক আগে ঝাড়গ্রামের স্থানীয়রা সংজ্ঞাহীন অবস্থায় রাজিয়াকে উদ্ধার করেন। তাঁকে ভর্তি করা হয় সেখানকার স্থানীয় হাসপাতালে। পরে সেখান থেকে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় ঝাড়গ্রাম সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে। ওই হাসপাতালের বেডে শুয়েই তিনি রেডিওলাদের মোবালের ভিডিওতে কথা বলেন বরিশালে। সব ব্যবস্থা করে হ্যাম রেডিও। ভাইপোর সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা হয় তাঁর। হ্যাম রেডিওর লোকজন এমন কাজ বহুবার করেছে।
স্থানীয় শিক্ষিকা সুজাতা ভট্টাচার্য রাজিয়ার খবর দেন ওয়েস্ট বেঙ্গল রেডিও ক্লাবের সেক্রেটারি অম্বরিশ নাগ বিশ্বাস। সুজাতার সঙ্গে নির্মলেন্দু মাহাতো নামে আরও এক শিক্ষক হ্যাম রেডিওতে হয়ে স্বেচ্ছাসেবীর কাজ করেন। এই দুই শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়মিত হাসপাতালে রোগী পরিদর্শনে আসতেন। সেখানেই তাঁদের সঙ্গে রাজিয়া বিবির দেখা হয়। পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া তিনিটি পরিবার সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে ভরি ছিলেন। যাদের মধ্যে একজন বছর ১৫-১৬ বছরের তরুণ ও অন্যজন মহিলা। তবে হিন্দিভাষী। মহিলার সঙ্গে কথা বলে হ্যাম রেডিওর দুই স্বেচ্ছাসেবী বুঝতে পারেন রাজিয়ার বাড়ি বাংলাদেশে। এর লাগাতার চেষ্টায় অবশেষে তারা বের করে ফলে তাঁর বাড়ির লোকের ঠিকানা।