পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : লোকসভার পর এবার রাজ্যসভাতেও পাস হয়ে গেল ভোটার কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ড সংযুক্তিকরণের বিল ।মঙ্গলবার ধ্বনি ভোটে পাস হয় এই বিল৷ কেন্দ্রীয় আইন ও বিচারবিভাগীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু এই বিল উত্থাপন করেন৷ বিলের বিরোধিতায় ওয়াকআউট করে বিরোধীরা। তাদের বাদ দিয়েই বিল পাস করিয়ে নেয় কেন্দ্র । সোমবার লোকসভাতেও বিরোধীদের মতামতকে তোয়াক্কা না করে একপ্রকার গায়ের জোরেই বিল পাস করিয়েছে মোদি সরকার।
কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করছে কংগ্রেস, তৃণমূল-সহ বিরোধী দলগুলি। তাদের দাবি, ভুয়ো ভোটার চিহ্নিত করাই যদি কেন্দ্রের লক্ষ্য হয়, তাহলে এই বিল তার উপযুক্ত নয়। কারণ আধার হল দেশে বসবাসের প্রমাণপত্র। আর ভোটার কার্ড হল নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র। তাই নয়া বিলটি আইনে পরিণত হলে দেশের নাগরিক নন এমন মানুষও ভোটাধিকার পেয়ে যাবেন। যদিও বিরোধীদের বক্তব্যকে কোনও গুরুত্ব দেয়নি কেন্দ্র। বরং তাদের দাবি ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কিরেণ রিজিজু বলেন, “ভুয়ো ভোটার চিহ্নিত করতেই সরকার এই পদক্ষেপ করছে। বিরোধীদের উচিত তাতে সমর্থন জানানো।”
বিরোধীরা বিল নিয়ে আলোচনার দাবি তোলে। যথারীতি তাতে আমল দেয়নি সরকার। নির্বাচন কমিশনের সুপারিশ মেনেই এই সংশোধনী বিল এনেছে কেন্দ্র।ভোট-ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী ও মজবুত করতে সব মিলিয়ে এই সংশোধনী এনেছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। ভোটদান ব্যবস্থাকে আরও স্বচ্ছ করতে এই সংশোধনী বলে কেন্দ্র দাবি করেছে।
নয়া এই সংশোধনীতে নির্বাচন কমিশনকে আরও বেশি ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে। নতুন নিয়মে একবার নাম নথিভুক্ত হয়ে গেলে আধার কার্ডের মাধ্যমেও ভোট দিতে পারবেন দেশের নাগরিকরা। তবে নাগরিকদের গোপনীয়তা রক্ষার যে অধিকার আছে তাতে হস্তক্ষেপ করা হবে না। কোনও নাগরিক চাইলেই তাঁর আধার কার্ড এবং ভোটার কার্ড লিঙ্ক করানোর ব্যবস্থা করা হবে।