রাবিয়া বেগম– বহরমপুরঃ ট্রেন থেকে নামিয়ে মারধর করে ট্রেনের তলায় ফেলে দিয়ে খুন করা হয়েছে বেগুনবাড়ির যুবক নাজিমুদ্দিন সেখকে। এখন জিআরপি থেকে রেল কর্তৃপক্ষের অবহেলার বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে। নদিয়া জেলার দৈনিক যাত্রী থেকে ছানা ব্যবসায়ীদের অত্যাচারের ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে। বাস্তবে দীর্ঘদিন ধরে মুর্শিদাবাদ জেলার রেলযাত্রীরা নদিয়া জেলার রেলযাত্রীদের দ্বারা অত্যাচারিত হয়ে আসছে। প্রতিবাদের ইচ্ছা থাকলেও জীবনের ভয়ে প্রতিবাদ করতে পারে না। প্রতিবাদ করলে প্রতিদিন প্রত্যেক ট্রেনেই নাজিমুদ্দিনের মতো ট্রেনের তলায় পড়ে দেহ দ্বিখণ্ডিত হবে।
গণি খান চৌধুরি রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মুর্শিদাবাদবাসীর সুবিধার জন্য ভাগীরথী এক্সপ্রেস ও ফাস্ট প্যাসেঞ্জার নামে দু’টি ট্রেন উপহার দিয়েছিলেন। একটি ট্রেন সকাল ১০.১৫ মিনিটে এবং একটি ট্রেন সকাল ১০.৪০ মিনিটে শিয়ালদহ স্টেশনে আসে। ফলে এই দু’টি ট্রেনে পলাশি থেকে রানাঘাটের নিত্যযাত্রীরা কলকাতায় যায়। ট্রেনে যাওয়া নিয়ে কারও কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু এরা ট্রেনে উঠেই সিটে বসে থাকা মুর্শিদাবাদ জেলার যাত্রীদের সিট থেকে তুলে দিয়ে জোর করে বসবে। ‘অনেক তো বসে আসলে এবার ওঠো’— বলে হুকুম জারি করে। এভাবে দু’জন বসলেই বাকিরা মাথার উপর দাঁড়িয়ে শুরু করে তাস খেলা ও সিগারেট খাওয়া। একই রকমভাবে বিকেল ৪.৪৫ মিনিট একটি ও ৬.২০ মিনিটে এই ট্রেন দু’টি শিয়ালদহ থেকে লালগোলার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। নিত্যযাত্রীরা ট্রেন শিয়ালদহ স্টেশন ছাড়ার পর রুদ্রমূর্তি ধারণ করে লালগোলা– ভগবানগোলার বৈধ যাত্রীদের জোর করে সিট থেকে তুলে দিয়ে নিত্যযাত্রীরা বসে। আশা শিক্ষিত– অশিক্ষিত মুর্শিদাবাদে রেলযাত্রীরা প্রতিবাদ করতে পারে না। অতীতে প্রতিবাদ করতে গিয়ে প্রাণে না মেরে বেদম মারধর করেছে। এবার নাজিমুদ্দিন সেখ প্রাণ দিয়েও প্রতিবাদ শেখালেন।
আবু তাহের খান (সাংসদ– মুর্শিদাবাদ) ঃ লালগোলা লাইনের ট্রেনে নিত্যযাত্রীদের হাতে সাধারণ যাত্রীরা অত্যাচারিত হওয়া নতুন কিছু নয়। এই জঘন্য ঘটনা বন্ধ করতে পারে রেল কর্তৃপক্ষ। রেল কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নিলে নিত্যযাত্রীরা নিশ্চয় অন্যরকম হবে। জিআরপি এবং রেল অফিসিয়ালকে অনুরোধ করব বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখবেন।