রেজাউল করিম, কালিয়াচক: দুবাই ফেরত এক শিশুর দেহে মিলল ওমিক্রন। আক্রান্তের বাড়ি মুর্শিদাবাদে। তবে আক্রান্ত শিশুটি কলকাতা থেকে সরাসরি মালদায় কালিয়াচকে তার মামারবাড়ি চলে আসে। এরপরেই জানা যায় সাত বছরের ওই শিশুটি ওমিক্রন আক্রান্ত। আপাতত শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিবারের সকলকে আইসোলেশনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঘটনার পরই তৎপরতা দেখা যায় পুলিশ প্রশাসন ও স্বাস্থ্যদফতরের মধ্যে। আপাতত ওই শিশুকে মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসাপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বাড়ির বাকিদেরও দেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আপাতত পরিবারের সকলকে আইসোলেশনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই পরিবারের সদস্যরা মালদায় আসার পর কার কার সঙ্গে মেলামেশা করছে– তাঁদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু করেছে স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা।
কালিয়াচকের বালিয়াডাঙ্গার এলাকার ঘটনা। জানা গেছে, আবু ধাবিতে শিশুসহ তার পরিবার দু বছর ধরে সেখানে রয়েছেন। গত ১০ ডিসেম্বর আবু ধাবি থেকে হায়দরাবাদে নামেন তাঁরা। তারপর ১১ ডিসেম্বর প্লেনে কলকাতা এসে পৌঁছন পরিবারের সকলে। তারপর বালিয়াডাঙ্গার মামারবাড়িতে আসে পরিবার সহ ওই শিশু।
এদিকে বুধবার হায়দরাবাদ থেকে খবর আসে– পরিবারের শিশুর দেহে ওমিক্রনের জীবাণু পাওয়া গেছে। দুবাই ফেরত সাত বছরের এক শিশুর দেহে ওমিক্রন ভাইরাসের উপস্থিতি নিয়েü ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে কালিয়াচকে। শিশু– তার মা– বাবা– দিদি সমেত মোট ৫ জনের লালার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তাদের বাড়ি মুর্শিদাবাদের ঘোলাকান্দিতে। কলকাতা থেকে ফারাক্কা হয়ে কালিয়াচকে মামার বাড়িতে আসে শিশু ও তার পরিবার।
এর মধ্যে জানা যায় শিশুটি ওমিক্রন ভাইরাসে সংক্রামিত। খবর পাওয়ার পরই নড়েচড়ে বসে মালদা জেলা স্বাস্থ্য দফতর।
কালিয়াচকের বিএমওএইচ মতিউর রহমান বলেন, সিএমওএইচ ম্যাডামের কাছে থেকে খবর পেযেü স্বাস্থ্য টিম ছুটে যায়। আমরা খবর পেয়ে যোগাযোগ করি পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে। পুলিশ যোগাযোগ করে আক্রান্তে পরিবারের সঙ্গে। বাড়ির বাকিদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ওই সদস্যরা আর কার কার সংস্পর্শে এসেছে তাঁদের দেহের নমুনা সংগ্রহ করার কাজ শুরু হয়েছে।
আক্রান্ত শিশুটিকে মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের কোভিড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে অ্যাম্বুলেন্সে। তবে শারীরিক দিক থেকে তেমন কোনও সমস্যা উপসর্গ দেখা যায়নি।
ব্লক স্বাস্থ্য দফতর ইতিমধ্যেই একটি বৈঠক করেছে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।