পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু জীবিত না তিনি মারা গিয়েছেন এই নিয়ে কেন্দ্রকে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
নেতাজি অন্তর্ধান নিয়ে ফের দায়ের হয়েছে জনস্বার্থ মামলা। এবার মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে।মামলাটি গ্রহণ করে আগামী দু মাসের মধ্যে কেন্দ্রকে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলা গৃহীত হয়েছে। আদালত কেন্দ্রকে আট সপ্তাহ সময় দিয়েছে। অর্থাৎ দু’মাসের মধ্যেই কেন্দ্রকে জানাতে হবে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু জীবিত আছেন কি না।
আদা লত সূত্রের খবর কলকাতা হাইকোর্টে যিনি এই মামলা দায়ের করেছেন তাঁর নাম হরেন বাগচী। মামলাকারী নিজের বক্তব্যে জানিয়েছেন এই দেশবরেণ্য নেতা জীবিত না মৃত তার জবাব কেন্দ্রের কোন সরকারই দিতে পারেনি।
১৯৪৫ সালের ১৮ অগস্ট সালের তাইহোকু বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজির মৃত্যু হয়নি এই কথা বিশ্বাস করেন অধিকাংশ দেশবাসী।
নেতাজি অন্তর্ধান রহস্য নিয়ে দেশে একাধিক তদন্তকারী কমিশন গঠিত হয়েছে। তার মধ্যে কার্যত শেষ তদন্তকারী কমিশন ছিল মুখার্জি কমিশন। তার আগের খোসলা কমিশন ও শাহনওয়াজ কমিশন জানিয়েছিল তাইহোকুর বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস। কিন্তু সেই দাবি নস্যাৎ করে দেয় মুখার্জি কমিশন। মনোজ কুমার মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন কমিশন দাবি করে, রেনকোজি মন্দিরের যে চিতাভস্ম সুভাষচন্দ্র বসুর বলে প্রচার করা হয় তা আসলে এক জাপানি সৈনিকের।
যদিও মুখার্জী কমিশনের এই পর্যবেক্ষণকে মান্যতা দেয়নি তৎকালীন মনমোহন সিং সরকার। ২০০৫ সালের ৮ নভেম্বর মুখার্জী কমিশন তাদের রিপোর্ট পেশ করে। সংসদে ২০০৬ সালের ১৭ মে আলোচনা হওয়ার পর তা খারিজ হয়ে যায়।
আপামর দেশবাসী চান এবার অন্তত এই লুকোচুরির অবসান হোক। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর পরিনতি যাই হোকনা কেন তা প্রকাশ্যে আসুক।